পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌb~ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 2 3rd March. (মহিমার প্রতি ) তোমাদের সংসার ত্যাগের কি দরকার ? সাধুদের কত কষ্ট ! এক জনের পরিবার বল্লে, তুমি সংসার ত্যাগ করবে— কেন ? আট ঘরে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতে হবে, তার চেয়ে এক ঘরে খাওয়া পাচ্ছ, বেশ ত ! “সদাব্রত খুঁজে খুজে সাধু তিন ক্রোশ রাস্তা থেকে দূরে গিয়ে পড়ে। দেখেছি, জগন্নাথ দর্শন ক’রে—সোজা পথ দিয়ে সাধু আসছে ;—সদাব্রতর জন্য তার সোজা পথ ছেড়ে যেতে হয় । “এতো বেশ,—কেল্লা থেকে যুদ্ধ। মাঠে দাড়িয়ে যুদ্ধ করলে অনেক অসুবিধা । বিপদ ! গায়ের উপর গোলাগুলি এসে পড়ে ! “তবে দিন কতক নির্জনে গিয়ে, জ্ঞান লাভ করে, সংসারে এসে থাকতে হয় । জনক জ্ঞানলাভ করে সংসারে ছিল । জ্ঞানের পর যেখানেই থাক, তাতে কি ? - মহিমাচরণ । মহাশয়, মানুষ কেন বিষয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় ? শ্রীরামকৃষ্ণ । তাকে লাভ না করে বিষয়ের মধ্যে থাকে বোলে । র্তাকে লাভ করলে আর মুগ্ধ হয় না। বাড়লে পোকা যদি এক বার আলো দেখতে পায়,—তা হলে আর তার অন্ধকার ভাল লাগে না । [ উৰ্দ্ধরেত, ধৈর্য্যরেতা ও ঈশ্বরলাভ ৷ সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম । ] “র্তাকে পেতে গেলে বীৰ্য্য ধারণ করতে হয় । “শুকদেবাদি উদ্ধরেতা । এদের রেতঃপাত কখন হয় নাই । “আর এক আছে ধৈর্য্যরেত। আগে রেতঃপাত হয়েছে, কিন্তু তার পর বীর্য্যধারণ । বার বছর ধৈর্য্যরেতা হলে বিশেষ শক্তি জন্মায় । ভিতরে একটা নূতন নাড়ী হয়, তার নাম মেধা নাড়ী । সে নাড়ী হলে সব স্মরণ থাকে,—সব জানতে পারে। “বীর্য্যপাতে বলক্ষয় হয় । স্বপ্নদোষে যা বেরিয়ে যায়, তাতে দোষ নাই। ও ভাতের গুণে হয়। ও সব বেরিয়ে গিয়েও যা থাকে, তাতেই কাজ হয়। তবু স্ত্রীসঙ্গ করা উচিত নয় । “শেষে যা থাকে, তা খুব রিফাইন (refine) হয়ে থাকে। লাহাদের ওখানে গুড়ের নাগরী সব রেখেছিল,—নাগরীর নীচে একটী একটা