পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাম, মহিমাচরণ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । X o X আসিয়াছেন ও ঠাকুরের হাতভাঙ্গ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা পড়া করিতেছেন। র্তার সঙ্গীদের মধ্যে একজন ডাক্তার। ঠাকুর ডাক্তার প্রতাপ মজুমদারের ঔষধ সেবন করিতেছেন । মণি বাবুর সঙ্গী ডাক্তার তাহার ব্যবস্থার অনুমোদন করিলেন না । ঠাকুর র্তাহাকে বলিতেছেন—সে ( প্রতাপ ) তে বোকা নয়, তা তুমি অমন কথা বলছ কেন ? এমন সময় লাটু উচ্চৈঃস্বরে বলিতেছেন, শিশি পড়ে ভেঙ্গে গেছে ! মণি ( সেন ) হঠযোগীর কথা শুনিয়া বলিতেছেন—“হঠযোগী কাকে বলে ? হঢ় hot—মানে ত গরম’ । মণি সেনের ডাক্তার সম্বন্ধে ঠাকুর ভক্তদের পরে বলিলেন—“ওকে জানি। যত্ন মল্লিককে বলেছিলাম, এ ডাক্তার তোমার ওলম্বাকুল,— অমুক ডাক্তারের চেয়েও মোট বুদ্ধি ” [ শ্ৰীযুক্ত মাষ্টারের সহিত একান্তে কথা । ] এখনও সন্ধ্যা হয় নাই । ঠাকুর নিজের আসনে বসিয়া মাস্টারের সহিত কথা কহিতেছেন । তিনি খাটের পাসে পাপোষে পশ্চিমাস্ত্য হইয়া বসিয়া আছেন ; এদিকে মহিমাচরণ পশ্চিমের গোল বারান্দায় বসিয়া মণি সেনের ডাক্তারের সহিত উচ্চৈঃস্বরে শাস্ত্রা লাপ করিতেছেন। ঠাকুর নিজের আসন হইতে শুনিতে পাইতেছেন ও ঈষৎ হাস্য করিয়া মাষ্টারকে বলিতেছেন—“ঐ ঝাড় ছে ! রজোগুণ । রজোগুণে একটু পাণ্ডিত্য দেখাতে, লেকচার দিতে ইচ্ছা হয়। সত্ত্বগুণে অন্তমুখ হয়,— আর গোপন । কিন্তু খুব লোক ! ঈশ্বর কথায় এত উল্লাস ! অধর আসিয়া প্রণাম করিলেন, ও মাষ্টারের পাশে বসিলেন। শ্ৰীযুক্ত অধর সেন ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট। বয়ঃক্রম ত্রিশ বৎসর হইবে । অনেক দিন ধরিয়া, সমস্ত দিন আফিসের পরিশ্রমের পর, ঠাকুরের কাছে প্রায় প্রত্যহ সন্ধ্যার পর আসেন। র্তাহার বাটী কলিকাতা শোভাবাজার বেনেটোলায়। অধর কয়েক দিন আসেন নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । কিগো, এতদিন আস নাই কেন ?