পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। পঞ্চবটমূলে বিজয়, সুরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ১০৫ বেড়াতাম । শম্ভ এক দিন বলছে, "ওহে তুমি তাই স্যাংটো হয়ে বেড়াও !—বেশ আরাম –আমি একদিন দেখলাম। সুরেন্দ্র । আপীষ থেকে এসে জামা চাপকন খোলবার সময় বলি—ম তুমি কত বাধাই বেঁধেছ ! * [ সুরেন্দ্রের আফিস । সংসার, অষ্টপাশ ও তিন গুণ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । অষ্টপাশ দিয়ে বন্ধন । লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতিঅভিমান, সঙ্কোচ, গোপনের ইচ্ছা,-—এই সব । ঠাকুর গান গাইতেছেন—আমি ঐ খেদে খেদ করি শ্যাম, তুমি মাত থাকতে আমার জাগা ঘরে চুরি (গে মা)। গান – স্যামা মা উড়াচ্চ ঘুড়ি (ভব সংসার বাজার মাঝে ) ঘুড়ি আশাবায়ু ভরে উড়ে, বাধা তাহে মায়া দড়ি । শ্ৰীকথামৃত, ১ম ভাগ ৩৯ পৃষ্ঠা । “মায়া দড়ি কিনা মাগ ছেলে । বিষয়ে মেজেছ মাঞ্জা কৰ্কশা হয়েছে দড়ি’ । বিষয়—কামিনীকাঞ্চন । গান ভবে আসা খেলতে পাশা, বড় আশা করেছিলাম । আশার আশা ভাঙ্গ দশা, প্রথমে পঞ্জুড়ি পেলাম । প’বার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল, (শেষে) কচে বারো পেয়ে মাগো, পঞ্জী ছক্কায় বদ্ধ হলাম। ছ’ দুই আট, ছ’চার দশ, কেউ নয় মা আমার বশ, খেলাতে না পেলাম যশ, এবার বাজী ভোর হইল । “পঞ্জুড়ী অর্থাৎ পঞ্চভূত। পঞ্জী ছক্কায় বন্দী হওয়া অর্থাৎ পঞ্চভূত ও ছয় রিপুর বশ হওয়া । ‘ছ তিন নয়ে ফাকি দিব । ছয়কে ফাকি দেওয়া অর্থাৎ ছয় রিপুর বেশ না হওয়া । “তিনকে ফাকি দেওয়া অর্থাৎ তিন গুণের অতীত হওয়া । “সত্ত্ব রজঃ তমঃ এই তিন গুণেতেই মানুষকে বশ করেছে । তিন ভাই ; সত্ত্ব থাকলে রজঃকে ডাকতে পারে, রজঃ থাকলে তমঃকে ডাকতে পারে। তিন গুণই চোর। তমোগুণে বিনাশ করে, রজোগুণে বদ্ধ করে : সত্ত্বগুণে বন্ধন খোলে বটে, কিন্তু ঈশ্বরের কাছ পৰ্য্যন্ত যেতে পারে না।”