পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর পঞ্চবটী । সুরেন্দ্র, কেদার, বিজয় প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ১০৭ “টাকা কড়ি সর্ববস্ব সব মাগের হাতে ! আবার বলা হয়—আমি দু'টো টাকাও আমার কাছে রাখতে পারি না—কেমন আমার স্বভাব ! “বড়বাবুর হাতে অনেক কৰ্ম্ম, কিন্তু করে দিচ্চে না । এক জন বল্লে ‘গোলাপীকে ধর, তবে কৰ্ম্ম হবে । গোলাপী বড়বাবুর রাড় । [ পূর্বকথা Fort দর্শন । স্ত্রীলোক ও কলমবাড়া রাস্তা । ] “পুরুষগুলো বুঝতে পারে না, কত নেমে গেছে । “কেল্লায় যখন গাড়ী করে গিয়ে পৌছিলাম, তখন বোধ হোলো যেন সাধারণ রাস্তা দিয়ে এলাম । তার পরে দেখি যে, চারতোল নীচে এসেছি ; কলমবাড়ী (sloping ) রাস্তা ! যাকে ভূতে পায়, সে জানতে পারে না যে আমায় ভূতে পেয়েছে। সে ভাবে, আমি বেশ আছি। বিজয় ( সহাস্তে ) ৷ রোজা মিলে গেলে রোজা ঝাড়িয়ে দেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ও কথার বেশী উত্তর দিলেন না । কেবল বলিলেন যে, ‘সে ঈশ্বরের ইচছা । তিনি আবার স্ত্রীলোক সম্বন্ধে কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । যাকে জিজ্ঞাসা করি, সেই বলে, আজ্ঞে হা, আমার স্ত্রীটি ভাল । এক জনেরও স্ত্রী মন্দ নয় ! ( সকলের হাস্য । ) “যারা কামিনীকাঞ্চন নিয়ে থাকে, তার নেশায় কিছু বুঝতে পারে না। যার দাবা বোড়ে খেলে, তারা অনেক সময় জানে না, কি ঠিক চাল । কিন্তু যারা অন্তর থেকে দেখে, তারা অনেকটা বুঝতে পারে। “স্ত্রী মায়ারূপিণী । নারদ রামকে স্তব করতে লাগলেন,—’হে রাম, তোমার অংশে যত পুরুষ ; তোমার মায়ারূপিণী সীতার অংশে যত স্ত্রী। আর কোন বর চাই না---এই কোরো, যেন তোমার পাদপদ্মে শুদ্ধ ভক্তি হয়, আর যেন তোমার জগৎমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ না হই ! [ গিরীন্দ্র নগেন্দ্র প্রভৃতির প্রতি উপদেশ । ] স্বরেন্দ্রের কনিষ্ঠ ভ্রাতা গিরীন্দ্র ও র্তাহার নগেন্দ্র প্রভৃতি ভ্রাতুষ্পপুত্রেরা আসিয়াছেন। গিরীন্দ্র আফিসের কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয়াছেন। নগেন্দ্র ওকালতির জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( গিরীন্দ্র প্রভূতির প্রতি ) ৷ তোমাদের বলি—তোমরা ংসারে আসক্ত হইও না । দ্যাখো, রাখালের জ্ঞান অজ্ঞান বোধ হয়েছে,