পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"> ob" শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 25th May. —সৎ অসৎ বিচার হয়েছে।—এখন তাকে বলি, “বাড়ীতে যা ; কখনও এখানে এলি, দুই দিন থাকৃলি ? “আর তোমরা পরম্পর প্রণয় করে থাকবে—তবেই মঙ্গল হবে । আর আনন্দে থাকবে। যাত্রাওয়ালারা যদি এক সুরে গায়, তবেই যাত্রাটি ভাল হয়,—আর যারা শুনে, তাদেরও আহলাদ হয় । “ঈশ্বরে বেশী মন রেখে, খানিকটা মন দিয়ে সংসারের কাজ করবে। “সাধুর মন ঈশ্বরে বার আনা,—আর কাজে চার আনা । সাধুর ঈশ্বরের কথাতেই বেশী হু স্। সাপের ন্যাজ মাড়ালে আর রক্ষা নাই !— স্যাজে যেন তার বেশী লাগে । [ পঞ্চবটীতে সহচরীর কীৰ্ত্তন। হঠাৎ মেঘ ও ঝড় । ] ঠাকুর ঝাউতলায় যাইবার সময় সিতির গোপালকে ছাতির কথা বলিয়া গেলেন । গোপাল মাস্টারকে বলিতেছেন—উনি বলে গেলেন, ছাতি ঘরে রেখে আসতে। পঞ্চবটতলায় কীৰ্ত্তনের আয়োজন হইল । ঠাকুর আসিয়া বসিয়াছেন । সহচরী গান গাইতেছেন। ভক্তেরা চতুৰ্দ্দিকে কেহ বসিয়া কেহ দাড়াইয়া আছেন । ত কল্য শনিবার অমাবস্যা গিয়াছে। জ্যৈষ্ঠ মাস। আজ মধ্যে মধ্যে মেঘ করিতেছিল। হঠাৎ ঝড় উপস্থিত হইল। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরে ফিরিয়া আসিলেন । কীৰ্ত্তন ঘরেই হইবে স্থির হইল । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সিতির গোপালের প্রতি ) । হ্যাগা, ছাতিটা এনেছ ? গোপাল। আজ্ঞা না, গান শুনতে শুনতে ভুলে গেছি! ছাতিটা পঞ্চবটীতে পড়িয়া আছে ; গোপাল তাড়াতাড়ি গেলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । আমি যে এত এলো মেলে, তবু অত দূর নয় ! “রাখাল এক জায়গায় নিমন্ত্রণের কথায় ১৩ইকে বলে ১১ই । “আর গোপাল—গরুর পাল । (সকলের হাস্য )। “সেই যে স্যাক্রাদের গল্পে আছে—একজন বলছে, কেশব', একজন বলছে ‘গোপাল, এক জন বলছে হরি’, একজন বলছে ‘হর । সে গোপালের মানে গরুর পাল । (সকলের হাস্য )। সুরেন্দ্র গোপালের উদ্দেশ করিয়া আনন্দে বলিতেছেন—‘কামু কোথায় ?