পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা—বলরামমন্দিরে পুনর্যাত্রাদিবসে ভক্তসঙ্গে । ১১৯ শ্ৰীশ্ৰীশ্যামসুন্দর বিগ্রহের সেবার তত্ত্বাবধান করেন। শ্ৰীবৃন্দাবনে তিনি সমস্ত দিন ঠাকুরের সেবা লইয় থাকেন। কখনও শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতাদি ভক্তিগ্রস্থ পড়েন । কখনও কখনও ভক্তিগ্রস্থ লইয়া তাহার প্রতিলিপী করেন। কখনও বসিয়া বসিয়া নিজে ফুলের মাল গাথেন। কখনও বৈষ্ণবদের নিমন্ত্ৰণ করিয়া সেবা করেন । ঠাকুরকে দর্শন করাইবার জন্য, বলরাম তাহাকে পত্রের উপর পত্র লিখিয়৷ কলিকাতায় আনাইয়াছেন। ‘সব ধৰ্ম্মেই সাম্প্রদায়িক ভাব ; বিশেষতঃ বৈষ্ণবদিগের মধ্যে ; ভিন্ন মতের লোক পরস্পর বিরোধ করে, সমন্বয় করিতে জানে না”—এই কথা ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন । [বলরামের পিতার প্রতি সৰ্বধৰ্ম্মসমন্বয় উপদেশ । ভক্তমাল ; শ্ৰীভাগবত। পূর্বকথা—মথুরের কাছে বৈষ্ণবচরণের গোড়ামী ও শাক্তদের নিন্দ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের পিতা প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি )। বৈষ্ণবদের একটি গ্রন্থ ভক্তমাল । বেশ বই,—ভক্তদের সব কথা আছে। তবে একঘেয়ে। এক জায়গায় ভগবতীকে বিষ্ণুমন্ত্ৰ লইয়ে তবে ছেড়েছে! “আমি বৈষ্ণবচরণের অনেক স্থখ্যাত করে সেজে বাবুর কাছে আনালুম। সেজে বাবু খুব যত্ন খাতির করলে। রূপার বাসন বা'র করে জল খাওয়ান পৰ্য্যন্ত । তার পর সেজে বাবুর সামনে বলে কি—“আমাদের কেশবমন্ত্র না নিলে কিছুই হ’বে না । সেজে বাবু শাক্ত, ভগবতীর উপাসক। মুখ রাঙা হ’য়ে উঠলো। আমি আবার বৈষ্ণবচরণের গা টিপি । “শ্রীমদ্ভাগবত—তাতেও নাকি ঐরকম কথা আছে, ‘কেশবমন্ত্র না নিয়ে ভবসাগর পার হওয়াও যা, আর কুকুরের ল্যাজ ধ’রে মহাসমুদ্র BB BBBB BS BB u BBBB BBBBKS BKBSu BJS টাই বড় করে গেছে ! “শাক্তেরাও বৈষ্ণবদের খাটো করবার চেষ্টা করে । শ্ৰীকৃষ্ণ ভবনদীর কাণ্ডার, পার ক’রে দেন,—শাক্তেরা বলে, ‘তাতো বটেই, মা রাজরাজেশ্বরী—তিনি কি আপনি এসে পার করবেন ?—ঐ কৃষ্ণকে রেখে দিয়েছেন পার করবার জন্য' (সকলের হাস্য) ।