পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> २२ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 3rd July. আমি ফড়িঙ ধরবো !’ ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, আমার সঙ্গে সে ঘরের ভিতরে আছে ; বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে,—তবুও দ্বার খুলে খুলে বাহিরে যেতে চায় । বকার পর আর বাহিরে গেল না, উ কি মেরে মেরে এক একবার দেখছে, বিদ্যুৎ,—আর বলছে, খুড়ে ! আবার চকমকি ঠুকছে ? “পরমহংস বালকের ন্যায়,—আত্মপর নাই, ঐহিক সম্বন্ধের আঁট নাই। রামলালের ভাই এক দিন বলছে, ‘তুমি খুড়ে, না পিসে । “পরমহংসের, বালকের ন্যায় গতিবিধির হিসাব নাই। সব ব্ৰহ্মময় দেখে,—কোথায় যাচ্ছে,—কোথায় চলছে,—হিসাব নাই । রামলালের ভাই হৃদের বাড়ী দুর্গাপূজা দেখতে গিছিল। হৃদের বাড়ী থেকে ছটুকে আপন আপনি কোন দিকে চলে গেছে ! চা’র বছরের ছেলে দেখে পথের লোক জিজ্ঞাসা করেছে, তুই কোথা থেকে এলি ? তা কিছু বলতে পারে না । কেবল বল্লে—“চালা’ (অর্থাৎ, যে আটচালায় পূজা হয়েছে )। যখন জিজ্ঞাসা করলে, ‘কার বাড়ী থেকে এসেছিস্ ? তখন কেবল বলে—‘দাদা’ । “পরমহংসের আবার উন্মাদের অবস্থা হয়। যখন উন্মাদ হল, শিবলিঙ্গ বোধে নিজের লিঙ্গ পূজা করতাম। জীবন্তলিঙ্গপূজা । একটা আবার মুক্ত পরানো হতো ! এখন আর পারি না । [ প্রতিষ্ঠার পর ( প্রতিষ্ঠা ১৮৫৫ ) পূর্ণজ্ঞানী পাগলের সঙ্গে দেখা ! ] “দক্ষিণেশ্বরে মন্দির প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরে একজন পাগল এসেছিল,—পূর্ণ-জ্ঞানী। ছেড়া জুতা, হাতে কঞ্চি—এক হাতে একটা ভাড়, আবচারা ; গঙ্গায় ডুব দিয়ে উঠে,কোন সন্ধ্যা আহ্নিক নাই, কোছড়ে কি ছিল তাই খেলে । তার পর কালীঘরে গিয়ে স্তব করতে লাগল। মন্দির কেঁপে গিয়েছিল । হলধারা তখন কালীঘরে ছিল । অতিথশালায় এর তাকে ভাত দেয় নাই—তাতে ভ্ৰক্ষেপ নাই। পাত কুড়িয়ে খেতে লাগলে —যেখানে কুকুরগুলো খাচ্ছে। মাঝে মাঝে কুকুরগুলিকে সরিয়ে নিজে খেতে লাগলো,—তা কুকুরগুলো কিছু বলে নাই। হলধারী পেছু পেছু গিয়েছিল, আর, জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তুমি কে ? তুমি কি পূর্ণজ্ঞানী ? তখন সে বলেছিল, ‘আমি পূর্ণজ্ঞানী ! চুপ ?