পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা—বলরামমন্দিরে পুনর্যাত্রাদিনে ভক্তসঙ্গে। ১২৩ “আমি হলধারার কাছে যখন এ সব কথা শুনলাম, আমার বুক গুরগুরু করতে লাগলো, আর হৃদেকে জড়িয়ে ধরলুম। মাকে বল্লাম, 'ম', তবে আমারও কি এই অবস্থা হবে ? আমরা দেখতে গেলাম—আমাদের কাছে খুব জ্ঞানের কথা—অন্য লোক এলে পাগলামি । যখন চলে গেল, হলধারী অনেকখানি সঙ্গে গিয়েছিল ফটক পার হলে হলধারীকে বলেছিল, ‘তোকে আর কি বলবো ! এই ডোবার জল আর গঙ্গাজলে যখন কোন ভেদবুদ্ধি থাকবে না, তখন জানবি পূর্ণ জ্ঞান হয়েছে। তার পর বেশ হন হন করে চলে গেল । கை__ைணய তৃতীয় পরিচ্ছেদ । [ পাণ্ডিত্য অপেক্ষ তপস্যার প্রয়োজন | সাধ্যসাধনা । ] ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মাষ্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। ভক্তেরাও কাছে বসিয়া আছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি)। শশধরকে তোমার কেমন বোধ হয় ? মাষ্টার—আজ্ঞা, বেশ । শ্রীরামকৃষ্ণ—খুব বুদ্ধিমান, না ? মাষ্টার । আজ্ঞা, পাণ্ডিত্য বেশ আছে । শ্রীরামকৃষ্ণ । গীতার মত—যাকে অনেকে গণে, মানে, তার ভিতর ঈশ্বরের শক্তি আছে। তবে ওর একটু কাজ বাকি আছে। “শুধু পাণ্ডিত্যে কি হবে, কিছু তপস্যার দরকার,— কিছু সাধ্য সাধনার দরকার । [পূর্বকথা—গৌরী পণ্ডিত ও নারায়ণ শাস্ত্রীর সাধন। বেলঘরের বাগানে কেশবের সহিত সাক্ষাৎ ১৮৭৫ । কাপ্তেনের আগমন ১৮৭৫-৭৬ । ] “গোল্পী পণ্ডিত সাধন করেছিল। যখন স্তব করতে, হারে রে নিয়ালম্ব লম্বোদর ”—তখন পণ্ডিতেরা কেঁচো হয়ে যেত । “লাল্লাহ্মণ শাস্ত্রীও শুধু পণ্ডিত নয়, সাধ্য সাধনা করেছিল। “নারায়ণ শাস্ত্রী পচিশ বৎসর একটানে পড়েছিল । সাত বৎসর স্যায় পড়েছিল,—তবুও হর হর বলতে বলতে ভাব হত। জয়পুরের রাজা সভাপণ্ডিত করতে চেয়েছিল। তা সে কাজ স্বীকার করলে না