পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা—বলরামমন্দিরে পুনর্যাত্রাদিবসে ভক্তসঙ্গে। ১২৭ “জ্ঞানীর আর কতকগুলি লক্ষণ আছে। সাধুর কাছে ত্যাগী, কৰ্ম্মস্থলে—যেমন লেকচার দিবার সময়—সিংহতুল্য, স্ত্রীর কাছে রসরাজ, রসপণ্ডিত । ( পণ্ডিত ও অন্যান্য সকলের হাস্য )। “বিজ্ঞানীর স্বভাব আলাদা। যেমন চৈতন্যদেবের অবস্থা । বালকবৎ, উন্মাদবৎ, জড়বৎ ; পিশাচবৎ । “বালকের অবস্থার ভিতর আবার, বাল্য, পেীগণ্ড, যৌবন ! পেীগণ্ড অবস্থায় ফছকিমি। উপদেশ দিবার সময় যুবার ন্যায়। পণ্ডিত । কিরূপ ভক্তি দ্বারা তাকে পাওয়া যায় ? [ শশধর ও ভক্তিতত্ত্ব-কথা। জ্বলন্ত বিশ্বাস চাই । বৈষ্ণবদের দীনভাব !] শ্রীরামকৃষ্ণ । প্রকৃতি অনুসারে ভক্তি তিন রকম । ভক্তির সত্ত্ব, ভক্তির রজঃ, ভক্তির তমঃ । “ভক্তির সত্ত্ব—ঈশ্বরই টের পান। সেরূপ ভক্ত গোপন ভাল বাসে,—হয় ত মশারির ভিতর ধ্যান করে, কেউ টের পায় না। সত্ত্বের সত্ত্ব—বিশুদ্ধ সত্ত্ব—হলে ঈশ্বর দর্শনের আর দেরী নাই ;— যেমন অরুণোদয় হ’লে বুঝা যায় যে, সূর্য্যোদয়ের আর দেরী নাই । “ভক্তির রজঃ যাদের হয়, তাদের একটু ইচ্ছা হয়—লোকে দেখুক, আমি ভক্ত। সে ষোড়শোপচার দিয়ে পূজা করে, গরদ পরে ঠাকুরঘরে যায়,—গলায় রুদ্রাক্ষের মাল,—মালায় মুক্তা,–মাঝে মাঝে একটা সোণার রুদ্রাক্ষ । “ভক্তির তমঃ—যেমন ডাকাতপড়া ভক্তি। ডাকাত টেকি নিয়ে ডাকাতি করে, আটটা দারোগার ভয় নাই,—মুখে—‘মারো ! লোটে !’ উন্মাদের ন্যায় বলে—“হর, হর, হর, বোম, ব্যোম ! জয় কালী!" মনে খুব জোর, জলস্ত বিশ্বাস। “শাক্তদের ঐরূপ বিশ্বাস ।--কি, একবার কালীনাম দুর্গানাম করেছি—একবার রামনাম করেছি, আমার আবার পাপ । “বৈষ্ণবদের বড় দীন হীন ভাব । যারা কেবল মালা জপে, (বলরামের পিতাকে লক্ষ্য করিয়া) কেঁদে কোকিয়ে বলে, “হে কৃষ্ণ ! দয়া কর,—আমি অধম, আমি পাপী ! g