পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা বলরামমন্দিরে—পুনর্যাত্রাদিনে ভক্তসঙ্গে । ১৩১ দ্বারা দেহ মন শুদ্ধ করা । সে অবস্থা এখন আর নাই। এই বলিয়া ঠাকুর গানের ধুয়া ধরিলেন—“শুচি অশুচিরে লয়ে দিব্য ঘরে কবে শুবি । তাদের দুই সতীনে পিরীত হলে তবে শু্যামা মারে পাবি ! শশধর প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন । , রাম। আমি কাল শশধরের কাছে গিয়েছিলাম, আপনি বলেছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । কই, আমি ত বলি নাই। তা বেশ ত তুমি গিছিলে । রাম—একজন খবরের কাগজের ( Indian Empire ) সম্পাদক আপনার নিন্দ করছিল । শ্রীরামকৃষ্ণ—“তা করলেই বা ।” রাম । তার পর শুলুন ! আমার কথা শুনে তখন আর আমায় ছাড়ে না, আপনার কথ। আরও শুনতে চায় ! প্রতাপ এখনও বসিয়া । ঠাকুর বলিতেছেন—“সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) একবার যেও,–ভুবন ( ধাত্রী ) ভাড়া দেবে বলেছে। - সন্ধ্যা হইল । ঠাকুর জগন্মাতার নাম করিতেছেন–রামনাম, কৃষ্ণনাম, হরিনাম করিতেছেন । ভক্তেরা নিঃশব্দে শুনিতেছেন। এত সুমিষ্ট নাম কীৰ্ত্তন, যেন মধু বর্ষণ হইতেছে। আজি বলরামের বাড়ী যেন নব দ্বীপ হইয়াছে। বাহিৱে নবদ্বীপ, ভিতরে হ্রন্দাবল । আজ রাত্রেই ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা করিবেন। বলরাম তাহাকে অন্তঃপুরে লইয়া যাইতেছেন–জল খাওয়াইবেন । এই সুযোগে মেয়ে ভক্তেরাও র্তাহাকে আবার দর্শন করিবেন। এদিকে ভক্তেরা বাহিরের বৈঠকখানায় তাহার অপেক্ষা করিতেছেন। ও একসঙ্গে সংকীৰ্ত্তন করিতেছেন। ঠাকুর বাহিরে আসিয়াই যোগ দিলেন। কীৰ্ত্তন চলিতেছে—আমার গৌর নাচে। নাচে সঙ্কীৰ্ত্তনে, শ্রীবাস অঙ্গনে, ভক্তগণসঙ্গে ॥ হরিবোল বলে বদনে গোরা, চায় গদাধর পানে, গোরার অরুণ নয়নে, বহিছে সঘনে, প্রেমধারা হেম অঙ্গে । ঠাকুর অখির দিতেছেন-নাচে সঙ্কীৰ্ত্তনে (শটার দুলাল নাচে রে)। (আমার গোরা নাচে রে ) ( প্রাণের গোরা নাচে রে ) ঐকথামৃত, চতুর্থভাগ, পঞ্চদশখণ্ডে পুনর্যাত্রাকথা সমাপ্ত ।