পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। শিবপুরের ভক্তগণ প্রভৃতি সঙ্গে। ১৩৭ ৷ ‘ভক্তি পাকলে ভাব । ভাব হলে সচ্চিদানন্দকে ভেবে অবাক হয়ে যায়। জীবের এই পৰ্য্যন্ত। আবার ভাব পাকলে মহাভাব,—প্রেম। যেমন কাচা আম আর পাকা অাম । - “শুন্ধা ভত্তি-ই আনার আর সব মিথ্য । “নারদ স্তব করাতে রাম বল্লেন, তুমি বর লও। নারদ চাইলেন, শুদ্ধাভক্তি । আর বল্লেন–রাম, যেন তোমার জগৎমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ ন হই । রাম বল্লেন, ও তো হলো, আর কিছু বর লও ! “নারদ বল্লেন—আর কিছু চাই না,—কেবল ভক্তি । “এই ভক্তি কিরূপে হয় ? প্রথমে সাধুসঙ্গ করতে হয়। সৎসঙ্গ করলে ঈশ্বরীয় বিষয়ে শ্রদ্ধা হয় । শ্রদ্ধার পর নিষ্ঠা, ঈশ্বরকথা বই আর কিছু শুনতে ইচ্ছা করে না ;–র্তারই কাজ করতে ইচ্ছা করে। “নিষ্ঠার পর ভক্তি । তার পর ভাব,—মহাভাব,—প্রেম,— বস্তলাভ। ‘মহাভাব, প্রেম,—-অবতার আদির হয় । সংসারী জীবের জ্ঞান, ভক্তের জ্ঞান, আর অবতারের জ্ঞান সমান নয় । সংসারী জীবের জ্ঞান যেন প্রদীপের আলে,—শুধু ঘরের ভিতরটা দেখা যায়। সে জ্ঞানে খাওয়া দাওয়া, ঘর করা, শরীর রক্ষা, সন্তান পালন, এই সব হয় । “ভক্তের জ্ঞান যেন চাদের আলো । ভিতর বার দেখা যায়,কিন্তু অনেক দুরের জিনিষ, কি খুব ছোট জিনিষ, দেখা যায় না। অবতার আদির জ্ঞান যেন সূর্য্যের আলো । ভিতর বার, ছোট বড়—তারা সব দেখতে পান। “তবে সংসারী জীবের মন ঘোলা জল হয়ে আছে বটে, কিন্তু নিৰ্ম্মলি ফেল্পে আবার পরিষ্কার হতে পারে। বিবেক বৈরাগ্য নিৰ্ম্মলি। এইবারে ঠাকুর শিবপুরের ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন । [ঈশ্বরকথা শ্রবণের প্রয়োজন। ‘সময়-সাপেক্ষ । ঠাকুরের সহজাবস্থা । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । আপনাদের কিছু জিজ্ঞাসা থাকে, বলে । ভক্ত। আজ্ঞা, সব তো শুনলাম। শ্রীরামকৃষ্ণ । শুনে রাখা ভাল, কিন্তু সময় না হলে হয় না । । “যখন খুব জ্বর, তখন কুইনাইন্‌ দিলে কি হবে ? ফিৰার মিক্‌শ্চার দিয়ে বাহে টাহে হ’য়ে একটু কম পড়লে, তখন কুইনাইন্‌ দিতে হয়।