পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 3rd August میدان الاد আবার কারু কারু অমনি সেরে যায়, কুইনাইন্‌ না দিলেও হয় । “ছেলে ঘুমবার সময় বলেছিল—“মা, আমার যখন হাগা পাবে, তখন তুলো । মা বল্লে, “বাবা, আমায় তুলতে হবে না, হাগায় তোমায় তুলবে!" “কেউ কেউ এখানে আসে দেখি, কোন ভক্তসঙ্গে নৌকা করে এসেছে। ঈশ্বরীয় কথা তাদের ভাল লাগে না । কেবল বন্ধুর গা টিপছে—‘কখন যাবে, কখন যাবে।' যখন বন্ধু কোন রকমে উঠলো না, তখন বলে, তবে ততক্ষণ আমি নৌকায় গিয়ে বসে থাকি।” “ক্ল্যাদের প্রথম মানুষ জন্ম, তাদের ভোগের দরকার। কতকগুলো কাজ করা না থাকলে চৈতন্য হয় না। ঠাকুর ঝাউতলায় যাইবেন । গোলবারাণ্ডায় মাষ্টারকে বলিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )। আচ্ছা, আমার কি রকম অবস্থা ? মাষ্টার (সহস্তে )। আজ্ঞা, আপনার উপরে সহজাবস্থা—ভিতর গভীর।—আপনার অবস্থা বোঝা ভারী কঠিন ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) ৷ ই ; যেমন floor করা মেজে, লোকে উপরটাই দেখে, মেজের নীচে কত কি আছে, জানে না । চাদনীর ঘাটে বলরাম প্রভৃতি কয়েকটি ভক্ত কলিকাতা খাইবার জন্য নৌকা আরোহণ করিতেছেন। বেলা চারিটা বাজিয়াছে। ভাট পড়িয়াছে, তাহাতে দক্ষিণে হাওয়া । গঙ্গাবক্ষ তরঙ্গমালায় বিভূষিত হইয়াছে। বলরামের নৌকা বাগবাজার অভিমুখে চলিয়া যাইতেছে, মাষ্টার অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখিতেছেন । - নৌকা অদৃশ্য হইলে তিনি আবার ঠাকুরের কাছে আসিলেন । ঠাকুর পশ্চিম বারাণ্ড হইতে নামিতেছেন—ঝাউতলা যাইবেন। উত্তর-পশ্চিমে সুন্দর মেঘ হইয়াছে। ঠাকুর বলিতেছেন, বৃষ্টি হবে কি— ছাতাটা আনো দেখি। মাষ্টার ছাতা আনিলেন। লাটুও সঙ্গে আছেন। ঠাকুর পঞ্চবটীতে আসিয়াছেন। লাটুকে বলিতেছেন—“তুই রোগ হয়ে যাচ্ছিস্ কেন ? লাটু—“কিছু খেতে পারি না ।” শ্রীরামকৃষ্ণ । কেবল কি ঐশ—সময় খারাপ পড়েছে—আর বেশী ধ্যান করিসূ বুঝি ? ( ঠাকুর মাষ্টারের সহিত কথা কহিতেছেন)।