পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○ミ àääfooto [ 1884, 7th, September. প্রথমে বাবুরাম, মাষ্টার, শ্রীরামপুরের ব্রাহ্মণ, মনমোহন, ভবনাথ, কিশোরী ; তৎপরে চুনীলাল, হরিপদ প্রভৃতি ; ক্রমে মুখুয্যে ভ্রাতৃদ্বয়, . রাম, স্বরেন্দ্র, তারক, অধর, নিরঞ্জন । লাটু, হরীশ ও হাজরা আজ কাল দক্ষিণেশ্বরেই থাকেন। শ্ৰীযুক্ত রামলাল মা কালীর সেবা করেন ও ঠাকুরের তত্ত্বাবধান করেন। ক্রীযুক্ত রাম চক্রবর্তী বিষ্ণুঘরে সেবা করেন । তিনিও মাঝে মাঝে আসিয়া ঠাকুরের তত্ত্বাবধান করেন। লাটু হরীশ ঠাকুরের সেবা করেন । আজ রবিবার ভাদ্রকৃষ্ণা দ্বিতীয় তিথি । ২৩এ ভাদ্র, ১২৯১ । ৭ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ । মাষ্টার আসিয়া প্রণাম করিলে পর ঠাকুর বলিতেছেন - “কই, নরেন্দ্র এলো না ?” নরেন্দ্র সে দিন আসিতে পারেন নাই । শ্রীরামপুরের ব্রাহ্মণটা রামপ্রসাদের গানের বঙ্গ আনিয়াছেন ও সেই পুস্তক হইতে মাঝে মাঝে গান পড়িয়া ঠাকুরকে শুনাইতেছেন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—‘কই, পড় না ? ব্রাহ্মণ। গান—বসন পরে, মা বসন পর, মা বসন পরো ! শ্রীরামকৃষ্ণ । ও সব রাখে, আকাট বিকাট । এমন পড় যাতে ভক্তি হয় । ব্রাহ্মণ—‘কে জানে কালী কেমন, ষড়, দর্শনে না পায় দর্শন । [ ঠাকুরের দরদী’ । পরমহংস, বাউল ও সাই । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি ) ৷ কাল অধর সেনের বাড়ী ভাবাববস্থায় এক পাশে থেকে পায়ে ব্যথা হয়েছিল। তাইত বাবুরামকে নিয়ে যাই । দরদি ! এই বলিয়া ঠাকুর গান গাইতেছেন— মনের কথা কইবো কি সই কহিতে মান । দরদি নইলে প্রাণ বঁাচে ন ॥ মনের মানুষ হয় যে জন, নয়নে তার যায় গো চেন, সে দু এক জনা ; সে যে রসে ভাসে প্রেমে ডোবে, কচ্ছে রসের বেচা কেন । ( ভাবের মানুষ) মনের মানুষ মিলবে কোথা, বগলে তার ছেড়া কাথা, ও সে কয়না গো কথা ; ভাবের মানুষ উজান পথে, করে আন গোনা । ( মনের মানুষ, উজান পথে করে আনা গোনা ) । “বাউলদের এই সব গান ! আবার আছে---