পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। বাবুরাম, হরিশ, নিরঞ্জন প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ১৫৭ কিশোরীর ছেলে পুলে হয়েছে। কম মাহিন—চলে না। ঠাকুর মাষ্টারকে বলিতেছেন—“নারাণ বলেছিল, কিশোরীর একটা কৰ্ম্ম করে দেবে । নারাণকে এক বার মনে করে দিও না ।” মাষ্টার পঞ্চবটীতে দাড়াইয়। ঠাকুর কিয়ৎক্ষণ পরে ঝাউতলা হইতে ফিরিলেন। মাষ্টারকে বলিতেছেন—‘বাহিরে একটা মাদুর পাত্তে বোলোতো। আমি একটু পরে যাচ্ছি—একটু শোবো।’ ঠাকুর ঘরে পৌঁছিয়া বলিতেছেন—“তোমাদের কারুরই ছাতাট। আনতে মনে নাই । ( সকলের হাস্য )। ব্যস্তবাগীশ লোক কাছের জিনিষও দেখতে পায় না। একজন আর একটী লোকের বাড়ীতে টিকে ধরতে গিছলো, কিন্তু হাতে লণ্ঠন জুলছে ! “একজন গামছা খুজে খুজে তার পর দেখে, কাধেতেই রয়েছে ! [ ঠাকুরের মধ্যাহ্ন-সেবা ও বাবুরামাদি সাঙ্গোপাঙ্গ । ] ঠাকুরের জন্য মা কালীর অন্নপ্রসাদ আনা হইল । ঠাকুর সেবা করিবেন। বেল প্রায় একটা । আহারান্তে একটু বিশ্রাম করিবেন। ভক্তরা তবুও ঘরে সব বসিয়া আছেন। বুঝাইয়া বলার পর বাহিরে গিয়া বসিলেন । হরীশ, নিরঞ্জন, হরিপদ, রান্না-বাড়ী গিয়া প্রসাদ পাইবেন । ঠাকুর হরীশকে বলতেছেন,তোদের জন্য আমসত্ত্ব নিয়ে যাস । ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিতেছেন। বাবুরামকে বলিতেছেন, বাবুরাম, কাছে একটু আয় না ? বাবুরাম বলিলেন, আমি পান সাজছি। শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন—রেখে দে পান সাজ । ঠাকুর বিশ্রাম করিতেছেন। এ দিকে বকুলতলায় ও পঞ্চবটী তলায় কয়েকটা ভক্ত বসিয়া আছেন,—মুখুয্যেরা, চুনীলাল, হরিপদ, ভবনাথ, তারক। তারক শ্রীবৃন্দাবন হইতে সবে ফিরিয়াছেন। ভক্তর তার কাছে বৃন্দাবনের গল্প শুনিতেছেন। তারক নিত্যগোপালের সহিত বৃন্দাবনে এতদিন ছিলেন।