পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>やミ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত [ 1884, 7th September. “—মল্লিক, আমার খেতে বেলা হয় বলে, রাধবার বামুন ঠিক করে দিছলো । এক মাস এক টাকা দিছলো। তখন লজ্জা হলো । ডেকে পাঠালেই ছুটতে হোতো !—আপনি যাই, সে এক ! “হীনবুদ্ধি লোকের উপাসনা । সংসারে এই সব—আরও কত কি ! [ পূর্বকথা—উন্মাদের পর ঠাকুরের প্রার্থনা। সন্তোষ Contentment] “এই অবস্থা যাই হোলো, রকম সকম দেখে অমনি মাকে বল্লাম— মা, ঐ খানেই মোড় ফিরিয়ে দাও !—স্থধামুখীর রান্না-—আর না আর না—খেয়ে পায় কান্না ! ( সকলের হাস্ত ) [ বাল্য—কামারপুকুরে ঈশ্বর ঘোষাল ডিপুটি দর্শন কথা। ] শ্রীরামকৃষ্ণ । যার কৰ্ম্ম কচ্ছ, তারই করো। লোকে পঞ্চাশ টাকা একশ টাকা মাইনের জন্য লালায়িত ! তুমি তিন শ টাকা পাচ্ছ । ওদেশে ডিপুটী আমি দেখেছিলাম। ঈশ্বর ঘোষাল । মাথায় তাজ— সব হাড়ে কাপে । ছেলেবেলায় দেখেছিলাম । ডিপুট কি কম গা ! “যার কৰ্ম্ম কচ্ছ, তারই করে । এক জনের চাকরী কল্লেই মন খারাপ হয়ে যায়, আবার পাঁচ জনের ! [চাকরীর নিন্দ। শস্তু ও মথুরের ধনের আদর। নরেন্দ্র Headmaster.] “একজন স্ত্রীলোক একজন মুছলমানের উপর আসক্ত হয়ে, তার সঙ্গে আলাপ করবার জন্য ডেকেছিল। মুছলমানটী সাধুলোক ছিল, সে বল্লে—আমি প্রস্রাব করবো, আমার বদন আনতে যাই । স্ত্রীলোকটী বল্লে-—ত এই খানেই হবে, আমি বদনা দিব এখন। সে বল্লে—তা হবে না । আমি যে বদনার কাছে একবার লজ্জা ত্যাগ করেছি, সেই বদনাই ব্যবহার করবো,—আবার নূতন বদনার কাছে নিলাজ হবে না। এই বলে সে চলে গেল। মাগীটারও আকেল হলো । সে বদনার মানে বুঝলে উপপতি । নরেন্দ্র পিতৃবিয়োগের পর বড়ই কষ্টে পড়িয়াছেন। মা ও ভাইদের ভরণপোষণের জন্য তিনি কৰ্ম্মকাজ খুজিতেছেন। বিদ্যাসাগরের বৌবাজার ইস্কুলে দিন কতক হেড মাষ্টারের কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন। অধর । আচ্ছা, নরেন্দ্র কৰ্ম্ম করবে কি না ?