পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত | [1884, 14th September চতুৰ্থ ভাগ—ডনবিংশ প্ৰণ্ড । ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । প্রথম পরিচ্ছেদ। জ্ঞান অজ্ঞানের পার হওঁ | শশধরের শুষ্ক জ্ঞান । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মধ্যাহ্ন সেবার পর দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে ভক্তসঙ্গে ঘরে বিশ্রাম করিতেছেন । আজ নরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভূতি ভক্তেরা কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন। মুখুর্যে ভ্রাতৃদ্বয়, জ্ঞান বাবু, ছোট গোপাল, বড় কালী প্রভৃতি এরাও আসিয়াছেন । কোন্নগর হইতে তিন চারিটি ভক্ত আসিয়াছেন । রাখাল শ্রীবৃন্দাবনে বলরামের সহিত আছেন । র্তাহীর জর হইয়াছিল—সংবাদ আসিয়াছে । আজ রবিবার ৩০ ভাদ্র ১২৯১, কৃষ্ণ দশমী তিথি, ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ । নরেন্দ্র পিতৃবিয়োগের পর মা ও ভাইদের লইয়া বড়ই ব্যতিব্যস্ত হইয়াছেন । তিনি আইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইবেন । জ্ঞানবাবু চারটে পাশ করিয়াছেন ও সরকারে কৰ্ম্ম করেন। তিনি ১০টা ১১টার সময় আসিয়াছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( জ্ঞানবাবু দৃষ্টে ) । কিগো, হঠাৎ যে জ্ঞানোদয় ! জ্ঞান ( সহাস্ত্যে )। আজ্ঞা অনেক ভাগ্যে জ্ঞানোদয় হয় । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে) | তুমি জ্ঞান হয়ে অজ্ঞান কেন ? ও, বুঝেছি, যেখানে জ্ঞান, সেইখানেই অজ্ঞান ! বশিষ্ঠদেব অতো জ্ঞানী,—পুত্রশোকে কেঁদেছিলেন ! তাই তুমি জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও । অজ্ঞান কাটা পায় ফুটেছে—তুলবার জন্য জ্ঞান কাটার দরকার । তার পর তোলা হলে দুই কঁাটাই ফেলে দেয় । [ নির্লিপ্ত গৃহস্থ। ঠাকুরের জন্মভূমিতে ছুতোরদের মেয়েদের কাযদর্শন ] ‘এই সংসার ধোকার টাটী-জ্ঞানী বলছে। যিনি জ্ঞান অজ্ঞানের পার, তিনি বলেছেন "মজার কুঠি । সে ছাখে, ঈশ্বরই জীব জগৎ, এই চতুবিংশতি তত্ত্ব সব হয়েছেন !