পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ૧૦ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 14th September. ঠাকুর ঝাউতলা হইতে ফিরিয়া আসিতেছেন—ভক্তের দেখিলেন । ভাবাবিষ্ট। মাতালের ন্যায় চলিতেছেন। যখন ঘরে পৌছিলেন, তখন আবার প্রকৃতিস্থ হইলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । নারা’নের জন্য ঠাকুরের ভাবনা । কোন্নগরের ভক্তগণ । শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি ও নরেন্দ্রের গান । ] ঠাকুরের ঘরে অনেক ভক্ত সমাগত হইয়াছেন। কোন্নগরের ভক্তদের মধ্যে একজন সাধক নূতন আসিয়াছেন— বয়ঃক্রম পঞ্চাশের উপর। দেখিলে বোধ হয়, ভিতরে খুব পাণ্ডিত্যাভিমান আছে। কথা কহিতে কহিতে তিনি বলিতেছেন—‘সমুদ্র মন্থনের আগে কি চন্দ্র ছিল না ? এ সব মীমাংসা কে করবে।’ ( মাষ্টার, সহাস্ত্যে )। ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন মুণ্ডমালা কোথায় পেলি ? সাধক ( বিরক্ত হইয়া ) । ও আলাদা কথা । ঘরের মধ্যে দাড়াইয়া ঠাকুর মাস্টারকে হঠাৎ বলিতেছেন, ‘সে এসেছিল—নারাণ ।” নরেন্দ্র বারাণ্ডায় হাজরা প্রভৃতির সহিত কথা কহিতেছিলেন— বিচারের শব্দ ঠাকুরের ঘর হইতে শুনা যাইতেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ । খুব বক্তে পারে । এখন বাড়ীর ভাবনায় বড় পড়েছে। মাষ্টার। আজ্ঞা, হঁ । শ্রীরামকৃষ্ণ । বিপদকে সম্পদ জ্ঞান করবে বলেছিল কি না । কি ? মাষ্টার। আজ্ঞা, মনের বলটা খুব আছে । বড়কালা। কোনটা কম ? [ ঠাকুর নিজের আসনে বলিয়াছেন। কোন্নগরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে বলিতেছেন—মহাশয়, ইনি (সাধক ) আপনাকে দেখতে এসেছেন—এর কি কি জিজ্ঞাস্ত আছে । সাধক দেহ ও মস্তক উন্নত করিয়া বসিয়া আছেন । সাধক । মহাশয়, উপায় কি ?