পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b”% àäätofoss 1 [1884, 14th September. শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহেন্দ্রাদি ভক্তদের প্রতি ) ৷ কলিকাতায় কাপ্তেনের বাড়ীতে গিছলাম। ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল। “কাপ্তেনের কি স্বভাব ! কি ভক্তি ! ছোট কাপড়খানি পরে আরতি করে। একবার তিন বাতিওলা প্রদীপে আরতি করে,—তার পর আবার এক বাতিওলা প্রদীপে । আবার কপূরের আরতি । “সে সময়ে কথা কয় না। আমায় ইসার করে আসনে বস্তে বল্লে। “পূজা করবার সময় চোখের ভাব—ঠিক যেন বোলত কামড়েছে! “এদিকে গান গাইতে পারে না । কিন্তু সুন্দর স্তব পাঠ করে । “তার মা’র কাছে নীচে বসে। মা—আসনের উপর বস্বে । “বাপ ইংরেজের হাওয়ালদার। যুদ্ধক্ষেত্রে এক হাতে বন্দুক আর এক হাতে শিবপূজা করে। খানসামা শিব গড়ে গড়ে দিচ্ছে। শিবপূজা না করে জল খাবে না । ছয় হাজার টাকা মাহিনা বছরে । “মাকে কাশীতে মাঝে মাঝে পাঠায় । সেখানে বারে তের জন মার সেবায় থাকে । অনেক খরচা । বেদান্ত গীতা,ভাগবত,–কাপ্তেনের কণ্ঠস্থ। “সে বলে, কলিকাতার বাবুরা স্লেচ্ছাচার। “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। * “কপ্তেনের পরিবার,— তার আবার আলাদা ঠাকুর, গোপাল । এবার তত কৃপণ দেখলাম না । সেও গীতা টীতা জানে। ওদের কি ভক্তি ! —আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব । খড়কে কাটটি পর্য্যন্ত ! “পাঠার চচ্চড়ি করে ;–-কাপ্তেন বলে পনর দিন থাকে,—কিন্তু কাপ্তেনের পরিবার বল্লে—“নাহি নাহি, সাত রোজ । কিন্তু বেশ লাগল। ব্যঞ্জন সব একটু একটু । আমি বেশী খাই বলে, আজ কাল আমায় বেশী দেয় । “তার পর খাবার পর, হয় কাপ্তেন,নয় তার পরিবার বাতাস করবে । [ Jung Bahadur 43 CECaUT; কাপ্তেনের সঙ্গে আগমন ১৮৭৫-৬। নেপালী ব্রহ্মচারিণীর গীতগোবিন্দ গান। ‘আমি ঈশ্বরের দাসী।’ ] “ওদের কিন্তু eারি ভক্তি,—সাধুদের বড় সন্মান । পশ্চিমে