পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাক্ষণেশ্বর । মহেন্দ্রাদ ভক্তসঙ্গে । । >bア* দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । শ্ৰীমুখকথিত চরিতামৃত । ঠাকুরের নান৷ সাধ । [ পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে। গঙ্গাস্নান । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । ভোগ লালসা থাক ভাল নয়। আমি তাই জন্য যা যা মনে উঠতো অমনি ক’রে নিতাম । বড়বাজারের রংকর সন্দেশ দেখে খেতে ইচছা হ’লো । এরা আনিয়ে দিলে। খুব খেলুম,—তার পর অস্থখ ! “ছেলেবেলা গঙ্গা নাইবার সময়, তখন নাথের বাগানে, একটি ছেলের কোমরে সোণার গোট দেখেছিলাম। এই অবস্থার পর সেই গোট পরতে সাধ হ’লো । তা বেশীক্ষণ রাখবার জো নাই,–গোট পরে ভিতর দিয়ে শিড় শিড় করে উপরে বায়ু উঠতে লাগলো—সোণ গায়ে ঠেকেছে কি না ? একটু রেখেই খুলে ফেলতে হ’লো । তা না হ’লে ছিড়ে ফেলতে হবে । “ধনে খালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল ( সকলের হাস্য )। [ পূর্বকথা শস্তুর ও রাজ নারায়নের চণ্ডী শ্রবণ। ঠাকুরের সাধু সেবা ] “শস্তুর চণ্ডীর গান শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল ! সে গানশোনার পর আবার রাজনারাণের চণ্ডী শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল । তাও শোনা হলো । “অনেক সাধুরা সে সময় আসতো। তা সাধ হ’লে, তাদের সেবার জন্য আলাদা একটি ভাড়ার হয়। সেজে৷ বাবু তাই ক’রে দিলে। সেই ভাড়ার থেকে সাধুদের সিদে, কাঠ, এ সব দেত্তয়া হোতে । “একবার মনে উঠলে যে খুব ভাল জরীর সাজ প’রবো । আর রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাবো । সেজে বাবু নূতন সাজ, গুড়গুড়ি, সব পাঠিয়ে দিলে । সাজ পরা হলো । গুড়গুড়ি নানারকম করে টানতে লাগলুম। একবার এপাস থেকে, একবার ওপাশ থেকে—উচু থেকে নীচু থেকে। তখন বল্লাম, মন এর নাম রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া ! এই বলে গুড়গুড়ি ত্যাগ হয়ে গেল। সাজগুলো খানিক পরে