পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b*ゲ ălăratoto [ 1884, 19th September. খুলে ফেললাম,—পা দিয়ে মাড়াতে লাগলাম—আর তার উপর থু থু করতে লাগলাম—বল্লাম, এর নাম সাজ ! এই সাজে রজোগুণ হয় । বৃন্দাবনে রাখাল ও বলরাম। পূৰ্ব্বকথা-রাখালের প্রথম ভাব ১৮৮১ । ] বলরামের সহিত রাখাল বৃন্দাবনে আছেন। প্রথম প্রথম বৃন্দাবনের খুব সুখ্যাত করিয়া আর বর্ণনা করিয়া পত্রাদি লিখিতেন । মাষ্টারকে পত্র লিখিয়াছিলেন, “এ বড় উত্তম স্থান আপনি আসবেন,—ময়ুর ময়ুরী সব নৃত্য করছে—আর নৃত্য গীত, সর্বদাই আনন্দ । তার পর রাখালের অসুখ হইয়াছে—বৃন্দাবনের জ্বর। ঠাকুর শুনিয়া বড়ই চিন্তিত আছেন । র্তার জন্য চণ্ডীর কাছে মানসিক ক’রেছেন। ঠাকুর রাখালের কথা কহিতেছেন—“এইখানে বসে পী টপতে টপ তে রাখালের প্রথম ভাব হ’য়েছিল । একজন ভাগবতের পণ্ডিত এই ঘরে বসে ভাগবতের কথা বলছিল। সেই সকল কথা শুনতে শুনতে রাখাল মাঝে মাঝে শিউরে উঠতে লাগলো ; তার পর একবারে স্থির ! “দ্বিতীয় বার ভাব বলরামের বাটীতে—ভাবেতে শুয়ে পড়েছিল । “রাখালের সাকারের ঘর—নিরাকারের কথা শুনলে উঠে যাবে। “তার জন্য চণ্ডীকে মানলুম। সে যে আমার উপর সব নির্ভর করেছিল— বাড়ী ঘর সব ছেড়ে । তার পরিবারের কাছে তাকে আমিই পাঠিয়ে দিতাম—একটু ভোগের বাকি ছিল । “বৃন্দাবন থেকে একে লিখেছে, এ বেশ জায়গা—ময়ুর ময়ুরী নৃত্য করছে ;—এখন ময়ুর ময়ুরী—বড়ই মুস্কিলে ফেলেছে ! “সেখানে বলরামের সঙ্গে আছে । আহ ! বলরামের কি স্বভাব ! আমার জন্য ওদেশে ( উড়িষ্যায় কোঠারে ) যায় না । ভাই মুসোহার বন্ধ ক’রেছিল । আর বলে পাঠিয়েছিল, ‘তুমি এখানে এসে থাকে, মিছামিছি কেন অত টাকা খরচ কর।”—তা সে শুনে নাই—আমাকে দেখবে বলে। “কি স্বভাব !—রাত দিন কেবল ঠাকুর লয়ে ;–মালীরা ফুলের মালাই গাথছে! টাকা বাঁচবে ব’লে, বৃন্দাবনে চার মাস থাকবে । দু'শ টাকা মুসোহারা পায় ।