পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)మ\ు শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 19th September. [ শ্ৰীযুক্ত রাধিক গোস্বামীকে সৰ্ব্বধৰ্ম্ম সমন্বয় উপদেশ । ] গান সমাপ্ত হইল—ঠাকুর কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( গোস্বামীর প্রতি ) । এ তে আপনাদের (বৈষ্ণবদের ) হ'লো। আর যদি কেউ শাক্ত কি ঘোষপাড়ার মত আসে, তখন কি বলবো । “তাই এখানে সব ভাবই আছে—এখানে সব রকম লোক আসবে বলে ; বৈষ্ণব, শাক্ত, কৰ্ত্তাভজা, বেদান্তবাদী, আবার ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানী । “তারি ইচ্ছাক্স লালন প্ৰস্বৰ্ম, নানা মত হয়েছে । “তবে তিনি যার যা পেটে সয় তাকে সেইটী দিয়েছেন । ম} সকলকে মাছের পোলোওয়া দেয় না । সকলের পেটে সয় না । তাই কাউকে মাছের ঝোল করে দেন । “যার যা প্রকৃতি, যার যা ভাব, সে সেই ভাবটি নিয়ে থাকে । “বারোয়ারীতে নানা মূৰ্ত্তি করে,—আর নানা মতের লোক যায়। রাধাকৃষ্ণ, হর-পাৰ্ববতী, সীতারাম, ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন মুক্তি রয়েছে, আর প্রত্যেক মূৰ্ত্তির কাছে লোকের ভিড় হয়েছে। যার বৈষ্ণব তারা বেশী রাধাকৃষ্ণের কাছে দাড়িয়ে দেখছে। যারা শাক্ত তার! হরপার্বতীর কাছে। যারা রাম ভক্ত তারা সীতারাম মূৰ্ত্তির কাছে। “তবে যাদের কোন ঠাকুরের দিকে মন নাই তাদের আলাদা কথা । বেশু উপপতিকে ঝাটা মারছে,—বারোয়ারীতে এমন মূৰ্ত্তিও করে। ও সব লোক সেই খানে দাড়িয়ে ই ক’রে দেখে আর চীৎকার করে বন্ধুদের বলে, ‘আরে ও সব কি দেখছিস্, এদিকে আয়! এদিকে আয়’ ! সকলে হাসিতেছেন । গোস্বামী প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন ।