পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত [ 1884, 2nd October. ( মণিলালের প্রতি ) কেশব . সেনের মা এসেছিল। তাদের বাড়ীর ছোকরার হরিনাম করলে। সে তাদের প্রদক্ষিণ করে হাততালি দিতে লাগলো। দেখলাম শোকে কাতর হয় নাই । এখানে এসে একাদশী করলে, মালাটা লয়ে জপ করে। বেশ ভক্তি দেখলাম। মণিলাল কেশব বাবুর পিতামহ রামকমল সেন ভক্ত ছিলেন । তুলসীকাননের মধ্যে বসে নাম করতেন। কেশবের বাপ প্যারীমোহনও ভক্ত বৈষ্ণব ছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । বাপ ওরূপ না হলে ছেলে অমন ভক্ত হয় না । দ্যাখে না,বিজয়ের অবস্থা । “বিজয়ের বাপ ভাগবত পড়তে পড়তে ভাবে অজ্ঞান হয়ে যেত । বিজয় মাঝে মাঝে হরি ! হরি !" বলে উঠে পড়ে। “আজ কাল বিজয় যা সব (ঈশ্বরীয় রূপ) দৰ্শন করছে, সব ঠিক ঠিক । “সাকার নিরাকারের কথা বিজয় বল্লে --যেমন বহুরূপীর রং লাল নীল, সবুজও হচ্ছে—আবার কোন রংই নাই । কখন সগুণ কখন নিগুণ । [ ‘বিজয় সরল । সরল হলে ঈশ্বর লাভ হয়।’ ] “বিজয় বেশ সরল । খুব উদার সরল না হ’লে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না । “বিজয় কাল অধর সেনের বাড়ীতে গিছলো । তা যেন আপনার বাড়ী—সববাই যেন আপনার । “বিষয়বুদ্ধি না গেলে উদার সরল হয় না। এই বলিয়া ঠাকুর গান গাইতেছেন— গান—অমূল্য প্রশ্ন শাবি ত্রে মন হলে খণটি । “মাট পাট করা না হলে হাড়ী তৈয়ার হয় না । ভিতরে বালি, টিল থাকলে হাড়ী ফেটে যায়। তাই কুমোর আগে মাটী পাট করে। “আরশীতে ময়লা পড়ে থাকলে মুখ দেখা যায় না। চিত্তশুদ্ধি নী হ’লে স্বস্বরূপ দর্শন হয় না। “দ্যাখে না, যেখানে অবতার, সেই খানেই সরল । নন্দঘোষ,