পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মণিমল্লিক, মাড়োয়ারী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২১৭ চতুর্থ পরিচ্ছেদ । পুৰ্ব্বকথ—লক্ষীনারায়ণের দশ হাজার টাকা দিবার কথায় শ্রীরামকৃষ্ণের অচৈতন্য হওয়া । সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম । ( মাড়োয়ারীর প্রতি ) ৷ ত্যাগীর বড় কঠিন নিয়ম । কামিনীকাঞ্চনের সংস্রব লেশ মাত্রও থাকবে না । টাকা নিজের হাতে তো লবে না,—আবার কাছেও রাখতে দেবে না। “লক্ষীনারায়ণ মাড়োয়ারী, বেদান্তবাদী, এখানে প্রায় আসতো । বিছানা ময়লা দেখে বল্লে, আমি দশ হাজার টাকা লিখে দোব, তার স্বদে তোমার সেবা চলবে । “যাই ও কথা বল্লে, অমনি যেন লাঠি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম ! “চৈতন্য হবার পর তাকে বল্লুম, তুমি অমন কথা যদি আর মুখে বলো, তা হলে এখানে আর এস না । আমার টাকা ছোবাৱ জে। নাই, কাছে ও রাখলার জে। নাই। “সে ভারি সূক্ষাবুদ্ধি,--বল্লে, তা হলে এখনও আপনার ত্যাজ্য গ্রাহ আছে । তবে আপনার জ্ঞান হয় নাই ।” “আমি বল্লাম, আমার, বাপু, এতদূর হয় নাই ! ( সকলের হাস্ত ) “লক্ষীনারায়ণ তখন হৃদের কাছে দিতে চাইলে । আমি বল্লাম, তা হলে আমার বলতে হবে ‘একে দে, ওকে দে ; না দিলে রাগ হবে । টাকা কাছে থাকাই খারাপ ! সে সব হবে না।’ “আরসীর কাছে জিনিষ থাকলে প্রতিবিম্ব হবে না ? [ শ্রীরামকৃষ্ণ ও মুক্তিতত্ত্ব । ‘কলিতে বেদমত নয়, পুরাণমত । ] মাড়োয়ারী ভক্ত। মহারাজ, গঙ্গায় শরীর ত্যাগ করলে তবে মুক্তি হবে ? শ্রীরামকৃষ্ণ । জ্ঞান হলেই মুক্তি । যেখানেই থাকে,—ভাগাড়েই মৃত্যু হোক, আর গঙ্গাতীরেই মৃত্যু হোক, জ্ঞানীর মুক্তি হবে। “তবে অজ্ঞানের পক্ষে গঙ্গা তীৱ । মাড়োয়ারী ভক্ত। মহারাজ, কাশীতে মুক্তি হয় কেন ?