পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মাড়োয়ারী, দক্ষিণেশ্বরের ছোকর প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২১৯ দক্ষিণেশ্বর নিবাসী ছোকরা । মহাশয়, জ্ঞান কাকে বলে ? শ্রীরামকৃষ্ণ । ঈশ্বর সৎ আর সমস্ত অসৎ এইট জানার নাম জ্ঞান । “যিনি সৎ তার একটী নাম ব্রহ্ম ও আর একটী নাম কাল ( মহাকাল ) । তাই বলে ‘কালে কত গেল—কত হলো রে ভাই ! “কালী যিনি কালের সহিত রমণ করেন । আদ্যাশক্তি । কাল ও কালী—ব্রহ্ম ও শক্তি--অভেদ । “সেই সৎস্বরূপ ব্রহ্ম নিত্য—তিন কালেই আছেন—তাদি-অন্তরহিত । তাকে মুখে বর্ণনা করা যায় না। হদ বলা যায়,—তিনি চৈতন্যস্বরূপ আনন্দস্বরূপ । * “জগৎ অনিত্য, তিনিই নিত্য ! জগৎ ভেন্ধিস্বরূপ। রাজীবsৱই সত্য । বাজীকরের ভেল্কি অনিত্য । ছোকরা । জগৎ মায়া—ভেস্কি—এ মায়া যায় না কেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ । সংস্কার-দোষে মায়া যায় না। অনেক জন্ম এই মায়ার সংসারে থেকে থেকে মায়াকে সত্য বলে বোধ হয় । “সংস্কারের কত ক্ষমতা শোন। এক জন রাজার ছেলে পূর্বজন্মে ধোপার ঘরে জন্মেছিল । রাজার ছেলে হয়ে যখন খেলা করছে, তখন সমবয়সীদের বলছে, ও সব খেলা থাক ! আমি উপুড় হয়ে শুই, আর তোরা আমার পিঠে হুস হুস করে কাপড় কাচ । সংস্কারবান গোবিন্দ পাল, গোপাল সেন, নিরঞ্জন, হারানন্দ । পূর্বকথা—গোবিন্দ, গোপাল ও ঠাকুরদের ছেলেদের আগমন । ১৮৬৩-৬৪ । ] e শ্রীরামকৃষ্ণ । এখানে অনেক ছোকরা আসে,~–কিন্তু কেউ কেউ ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল । তারা সংস্কার নিয়ে এসেছে। “সে সব ছোকরা বিবাহের কথায় অ্যা অ্যা করে ! বিবাহেরকথা মনেই করে না। নিরঞ্জন ছেলেবেলা থেকে বলে, বিয়ে করবে না। “অনেক দিন হলো (কুড়ি বছরের অধিক ) বরাহনগর থেকে দুটা ছোকরা আস্ত। এক জনের নাম গোবিন্দ পাল, আর এক জনের নাম গোপাল সেন। তাদের ছেলেবেলা থেকেই ঈশ্বরেতে মন । ।