পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । মুখুয্যে, কবিরাজ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ২২৩ সিতির মহেন্দ্র কবিরাজ বারান্দায় বসিয়া আছেন। শ্ৰীযুক্ত রামলাল, হাজরা প্রভৃতির সঙ্গে কথা কহিতেছেন। ঠাকুর নিজের আসন হইতে র্তাহাকে ডাকিতেছেন --‘মহিন্দর ” “মহিন্দর ” মাষ্টার তাড়াতাড়ি গিয়া কবিরাজকে ডাকিয়া আনিলেন। খ্রীরামকৃষ্ণ (কবিরাজের প্রতি ) ৷ বোসে না,—একটু শোনে । কবিরাজ কিঞ্চিৎ অপ্রস্তুত হইয়া উপবেশন করিলেন ও ঠাকুরের অমৃতোপম কথা শ্রবণ করিতে লাগিলেন । [ নানা ছাদে সেবা । বলরামের ভাব । গৌরাঙ্গের তিন অবস্থা । ] ঐশীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) ৷ তাকে নানা ছাদে সেবা করা যায়। “প্রেমিক ভক্ত র্তাকে নানারূপে সন্তোগ করে । কখনও মনে করে “তুমি পদ্ম তামি অলি । কখনও ‘তুমি সচ্চিদানন্দ আমি মীন ! “প্রেমিক ভক্ত আবার ভাবে ‘আমি তোমার নৃত্যকী ?—আর তার সম্মুখে নৃত্য গীত করে । কখনও সখীভাব বা দাসীভাব। কখনও তার উপর বাৎসল্য ভাব—যেমন যশোদার । কখনও বা পতিভtল— মধুর ভাব—যেমন গোপীদের। “বলরাম কখনও সখার ভাবে থাকতেন, কখনও বা মনে করতেন আমি কৃষ্ণের ছাত বা আসন হ’য়েছি। সব রকমে তার সেবা করতেন । ঠাকুর প্রেমিক ভক্তের অবস্থা বর্ণনা করিয়া কি নিজের অবস্থা বলিতেছেন ? আবার চৈতন্যদেবের তিনটী অবস্থা বর্ণনা করিয়া ইঙ্গিত করিয়া বুঝি নিজের অবস্থা বুঝাইতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । চৈতন্য দেবের তিনটী অবস্থা ছিল । অন্তদশায় সমাধিস্থ—বাহশূন্য । অৰ্দ্ধবাহ দশায় আবিষ্ট হইয়া নৃত্য করতে পারতেন, কিন্তু কথা কহিতে পারিতেন না। বাহদশায় সংকীৰ্ত্তন। ( ভক্তদের প্রতি ) ৷ তোমরা এই সব কথা শুনছো—ধারণার চেষ্টা করবে। বিষয়ীরা সাধুর কাছে যখন আসে তখন বিষয় কথা, বিষয় চিন্তা, একেবারে লুকিয়ে রেখে দেয়। তার পর চলে গেলে সেইগুলি বার করে। পায়রা মটর খেলে ; মনে হ’লে যে ওর হজম হয়ে গেল । কিন্তু গলার ভিতর সব রেখে দেয়। গলায় মটর গিড় গিড় করে।