পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰী শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 5th October. চতুৰ্থ ভাগ—দ্বাবিংশ খণ্ড । দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে বাবুরাম, মাষ্টার, নীলকণ্ঠ, মনোমোহন প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । প্রথম পরিচ্ছেদ । হাজরা মহাশয় । অহৈতুকী ভক্তি। ] ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে ভক্তসঙ্গে মধ্যাহ্নসেবার পর নিজের ঘরে বসিয়া আছেন। কাছে মেজেতে মাষ্টার, হাজরা, বড় কালী, বাবুরাম, রামলাল, মুখুয্যেদের হরি প্রভৃতি,—কেহ বসিয়া কেহ দাড়াইয়া আছেন। শ্ৰীযুক্ত কেশবের মাতাঠাকুরাণীর নিমন্ত্রণে গতকল্য র্তাহীদের কলুটোলার বাড়ীতে গিয়া ঠাকুর খুব কীৰ্ত্তনানন্দ করিয়াছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (হাজরার প্রতি) । আমি কাল কেশব সেনের এ বাটতে ( নবীন সেনের বাটতে ) বেশ খেলুম—বেশ ভক্তি করে দিলে। হাজরা মহাশয় ও তত্ত্বজ্ঞান। হাজরা ও তর্কবুদ্ধি। ] হাজরা মহাশয় অনেক দিন ঠাকুরের কাছে রহিয়াছেন । “আমি জ্ঞানী এই বলিয়া তাহার একটু অভিমান আছে। লোকজনের কাছে ঠাকুরের একটু নিন্দ করাও হয়। এ দিকে বারাণ্ডাতে নিজের আসনে বসিয়া একমন হইয়া মালা জপও করেন। চৈতন্যদেবকে ‘হালের অবতার বলিয়া সামান্য জ্ঞান করেন । বলেন, ‘ঈশ্বর যে শুদ্ধ ভক্তি দেন, তা নয় ; তাহার ঐশ্বৰ্য্যের অভাব নাই,—তিনি ঐশ্বৰ্য্যও দেন । তাকে লাভ করলে অষ্টসিদ্ধি প্রভৃতি শক্তিও হয়। বাড়ীর দরুণ কিছু দেনাও আছে—প্রায় হাজার টাকা । সে গুলির জন্য তিনি ভাবিত আছেন। বড় কালী আফিসে কৰ্ম্ম করেন । সামান্য বেতন । ঘরে পরিবার ছেলে পুলে আছে। পরমহংস দেবের উপর খুব ভক্তি ; মাঝে মাঝে আফিস কামাই করিয়াও র্তাহাকে দর্শন করিতে আসেন। l