পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। নীলকণ্ঠ প্রভূতি ভক্তগণ সঙ্গে সংকীৰ্ত্তনানন্দে। ২৪৩ বিজ্ঞান—তাকে লাভ করে নানা ভাবে ভালবাসার নাম বিজ্ঞান। “আবার আছে—তিনি এক দুয়ের পার—বাক্য মনের অতীত । লীলা থেকে নিত্য, আবার নিত্য থেকে লীলায় আসা,—এর নাম পাকা ভক্তি । “তোমার ও গানটী বেশ—“শ্যামাপদে আশ নদীর তীরে বাস।” “তা হলেই হলো,—র্তার কৃপার উপর সব নির্ভর কচ্ছে । “কিন্তু তা বলে তাকে ডাকতে হবে,—চুপ করে থাকলে হবে না । উকিল হাকিমকে সব বোলে শেষে বলে—“আমি যা বলবার বল্লাম, এখন হাকিমের হাত ।” কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর বলিতেছেন—তুমি সকালে অতো গাইলে,— আবার এখানে এসেছ কষ্ট করে। এখানে কিন্তু অনারারী honorary ৷ নীলকণ্ঠ । কেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )। বুঝেছি, আপনি যা বলবেন। নীলকণ্ঠ । আ মূল্য ভুল তল নিক্সে ক্ষাৰ ! ! ! * শ্রীরামকৃষ্ণ । সে অমূল্য রতন আপনার কাছে । আবার কয়ে আকার দিলে কি হবে ? না হলে, তোমার গান অতো ভাল লাগে কেন ? রামপ্রসাদ সিদ্ধ, তাই তার গান ভাল লাগে । “সাধারণ জীবকে বলে মানুষ । যার চৈতন্য হয়েছে, সেই মানহু সন । তুমি তাই মানহুস । “তোমার গান হবে শুনে আমি আপনি যাচিছলাম—তা নিয়োগীও বলতে এসেছিল । ঠাকুর ছোট তক্তাপোষের উপর নিজের আসনে গিয়া বসিয়াছেন । নীলকণ্ঠকে বলিতেছেন, একটু মায়ের নাম শুনবো । নীলকণ্ঠ সঙ্গোপাঙ্গ লইয়া গান গাইতেছেন-— গান—শ্যামাপদে অtশ, লদীর তীরে বাসন গান—“মহিষমদিলা এই গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর দাড়াইল্লা সমাধিস্থ। নীলকণ্ঠ গানে বলিতেছেন ‘যার জটায় গঙ্গা, তিনি রাজরাজেশ্বরীকে হৃদযে ধারণ করিয়া আচেন ।”