পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। নীলকণ্ঠাদি ভক্তগণসঙ্গে সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে ৷ ২৪৫ বলিতেছেন—ভাগবত, ভক্ত, ভগবান –জ্ঞানীদের নমস্কার, যোগীদের নমস্কার, ভক্তদের নমস্কার । এইবার ঠাকুর নীলকণ্ঠাদি ভক্তসঙ্গে পশ্চিমের গোল বারাণ্ডায় আসিয়া বসিয়াছেন। সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। আজ কোজাগর পূর্ণিমার পর দিন । চতুর্দিকে চাদের আলে। ঠাকুর নীলকণ্ঠের সহিত আনন্দে কথা কহিতেছেন। [ ঠাকুর কে ? “আমি খুজে পাই নাই। ঘরে আনবে চণ্ডী । ] নীলকণ্ঠ । আপনিই সাক্ষাৎ গোল্লাতঙ্গ ! শ্রীরামকৃষ্ণ । ও গুণে কি !—আমি সকলের দাসের দাস । “গঙ্গারই ঢেউ ঢেউএর কখন গঙ্গা হয় ? নীলকণ্ঠ । আপনি যা বলুন, আমরা আপনাকে তাই দেখছি! ত্রীরামকৃষ্ণ ( কিঞ্চিৎ ভাববিষ্ট হইয়া, করুণ স্বরে ) । বাপু, আমার ‘আমি খুজি তে যাই, কিন্তু খুজে পাই না ! “হনুমান বলেছিলেন –হে রাম, কখন ভাবি তুমি পূর্ণ, আমি অংশ, —তুমি প্রভু আমি দাস,-আবার যখন তত্ত্বজ্ঞান হয়—তখন দেখি, তুমিই আমি, আমিই তুমি । নীলকণ্ঠ । আর কি বলবো, আমাদের কৃপা করবেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে) । তুমি কত লোককে পার কোরছ—তোমার গান শুনে কত লোকের উদ্দীপন হচ্ছে । নীলকণ্ঠ । পার করছি বলছেন । কিন্তু আশীৰ্ববাদ করুন, যেন নিজে ডুবি না ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )। যদি ডোবো ত’ ঐ স্থধা-হ্রদে ! ঠাকুর নীলকণ্ঠকে পাইয়া আনন্দিত হইয়াছেন। র্তাহাকে আবার বলিতেছেন—“তোমার এখানে আসা !—যাকে অনেক সাধ্য সাধনা করে তবে পাওয়া যায় ! তবে একট। গান শোনো – গিলি ! গনেশ তম মাত্র শুভকাৱণ । পূজে গণপতি, পেলাম হৈমবতী যাও হে গিরিরাজ, আনো গিয়ে গৌরী। বিম্ববৃক্ষমূলে পাতিয়ে বোধন, গণেশের কল্যাণে গৌরীর আগমন, ঘরে আনবে চণ্ডী, শুনবো কত চণ্ডী, কত আসবেন দণ্ডী, যোগী জটাধারী ॥