পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8br শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1885, 3th July. কন্যারূপে পেয়েছিল। মেয়েটকে বড়ই স্নেহ করে। সেই স্নেহের গুণে তিনি আটকে ছিলেন, বাপের কাছছাড়া প্রায় হ’তেন না। এক দিন সে জমাদারীর কাজ করছে, ভারি ব্যস্ত, মেয়েট ছেলের স্ব ভাবে কেবল বলছে, ‘বাবা, এটা কি, ওটা কি ! বাপ অনেক মিষ্টি করে বললে—‘মা, এখন যাও, বড় কাজ পড়েছে।’ মেয়ে কোন মতে যায় না । শেষে বাপ অন্যমনস্ক হ’য়ে বললে, ‘তুই এখান থেকে দূর হ ! মা তখন এই ছুতো করে বাড়ী থেকে চলে গেলেন । সেই সময় একজন শাখারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল । তাকে ডেকে শাখা পরা হ’লো । দাম দেবার কথায় বল্লেন, ‘ঘরের অমুক কুলুঙ্গিতে টাকা আছে, লবে । এই ব’লে সেখান থেকে চ’লে গেলেন, আর দেখা গেল না । এ দিকে শাঁখারী টাকার জন্য ডাকাডাকি ক’রছে। তখন মেয়ে বাড়ীতে নাই দেখে, সকলে ছুটে এলে । রণজিত রায় নানা স্থানে লোক পাঠালে সন্ধান করবার জন্য। শাঁখারীর টাকা ঠিক সেই কুলুঙ্গিতে পাওয়া গেল । রণজিত রায় কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্চেন, এমন সময় লোকজন এসে বল্লে যে দীঘিতে কি দেখা যাচেচ । সকলে দীঘির ধারে গিয়ে দেখে যে, শাখা পরা হাতটা জলের উপর তুলেছেন। তার পর আর দেখা গেল না। এখনও ভগবতীর পূজা ঐ মেলার সময় হয়---বারুণীর দিনে। (মাষ্টারকে ) এ সব সত্য । মাষ্টার। আজ্ঞা, হা । শ্রীরামকৃষ্ণ । নরেন্দ্র এখন এ সব বিশ্বাস করে । “পূর্ণর বিষ্ণুর অংশে জন্ম। মানসে বিল্বপত্র দিয়ে পূজা করলুম ; তা হলো না ;--তুলসী চন্দন দিলাম, তখন হলো ! “তিনি নানারূপে দর্শন দেন। কখন নররূপে, কখন চিন্ময় ঈশ্বরীয় রূপে । রূপ মানতে হয়। কি বল ? মাষ্টার । আজ্ঞা হুঁ । [ গোপালের মার প্রকৃতিভাব ও রূপদৰ্শন । ] স্ত্রীরামকৃষ্ণ । কামারহাটর বামনী ( গোপালের মা ) কত কি দ্যাখে । একলাটি গঙ্গার ধারে একটি বাগানে নির্জন ঘরে থাকে, আর জপ করে। গোপাল কাছে শোয় ! (বলিতে বলিতে ঠাকুর চমকিত হইলেন ) । কল্পনায় নয়, সাক্ষাৎ ! দেখলে গোপালের হাত রাঙা !