পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতী—বলরামমন্দিরে। তেজচন্দ্র, নারীণ প্রভৃতি সঙ্গে । ২৫১ মাষ্টার (সহস্তে )। বাড়ীতে বিয়ে, দশ দিন আপীষের ছুটী নিয়েছিলেন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ। তবে !—অবসর নাই, অবসর নাই ! এই বলি, সংসার ত্যাগ করবি । 移 নারা’ণ । মাষ্টার মহাশয় একদিন বলেছিলেন---Wilderness of this World Hoitz, Wasis - - ত্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি ) ৷ তুমি ঐ গল্পট বল ত, এদের উপকার হবে । শিষ্য ঔষধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে আছে। গুরু এসে বল্লেন, এর প্রাণ বাঁচতে পারে, যদি এই বড়ি কেউ খায়। এ বাঁচবে কিন্তু বড়ি যে খাবে সে মরে যাবে । “আর ওটাও বল-—খ্যাচ ম্যাচ । সেই হঠযোগী যে মনে করেছিল যে, পরিবারাদি এরাই আমার আপনার লোক। তৃতীয়ভাগ শ্ৰীকথামৃত । মধ্যাহ্লে ঠাকুর শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথের প্রসাদ পাইলেন । বলরামের জগন্নাথ দেবের সেবা আছে। তাই ঠাকুর বলেন, ‘বলরামের শুদ্ধ অন্ন ? আহারান্তে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিলেন । বৈকাল হইয়াছে। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে সেই ঘরে বসিয়া আছেন । কৰ্ত্তাভজা চন্দ্রবাবুও রসিক ব্রাহ্মণটাও আছেন ; ব্রাহ্মণটর স্বভাব এক রকম ভীড়ের ন্যায়,—এক একটা কথা কন আর সকলে হাসে । ঠাকুর কৰ্ত্তাভজাদের সম্বন্ধে অনেক কথা বলিলেন ,—রুপ, স্বরূপ, রজঃ, বীজ, পাকপ্রণালী ইত্যাদি। [ ঠাকুরের ভাবাবস্থা । শ্ৰীযুক্ত অতুল ও তেজচন্দ্রের ভ্রাতা । ] ছটা বাজে। গিরীশের ভ্রাতা অতুল, ও তেজচন্দ্রের ভ্রাতা আসিয়াছেন । ঠাকুর ভাবসমাধিস্থ হইয়াছেন । কিয়ৎক্ষণ পরে ভাবে বলিতেছেন,—“চৈতন্যকে ভেবে কি অচৈতন্য হয় ?—ঈশ্বরকে চিন্তা করে কেউ কি বেহেড হয় ?—তিনি যে বোধস্বরূপ। নিত্য,শুদ্ধ,বোধ রূপ !” আগন্তকদের ভিতর কেউ কি মনে করিতেছিলেন যে, বেশী ঈশ্বর চিন্তা করিয়া ঠাকুরের মাথা খারাপ হইয়া গিয়াছে ?