পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨( ૨ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1885, 13th July [ ‘এগিয়ে পড়’। কৃষ্ণধনের সামান্য রসিকতা । ] | ঠাকুর কৃষ্ণধন নামক ঐ রসিক ব্রাহ্মণকে বলিতেছেন—“কি সামা ! ঐহিক বিষয় নিয়ে তুমি রাত দিন ফঃিনাষ্টি করে সময় কাটাচ্ছ। ঐটী ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও । যে মুনের হিসাব করতে পারে, সে মিশ্রির হিসাবও করতে পারে” । কৃষ্ণধন ( সহস্যে ) । আপনি টেনে নিন্‌ ! শ্রীরামকৃষ্ণ । আমি কি করব, তোমার চেষ্টার উপর সব নির্ভর করছে । এ মন্ত্র নয়,—এখন, মন তোর ! “ও সামান্য রসিকতা ছেড়ে ঈশ্বরের পথে এগিয়ে পড়,—তারে বাড়া, তারে বাড়,--আছে। ব্রহ্মচারী কাঠুরিয়াকে এগিয়ে পড়তে বলেছিল । সে প্রথম এগিয়ে ছাখে চন্দনের কাঠ,—তার পর ছাখে রূপার খনি,—তার পর সোণার খনি,—তার পর হীরা মাণিক ! কৃষ্ণধন । এ পথের শেষ নাই ! শ্রীরামকৃষ্ণ । যেখানে শান্তি, সেই খানে ‘তিষ্ঠ । ঠাকুর একজন আগন্তক সম্বন্ধে বলিতেছেন— “ওর ভিতর কিছু বস্তু দেখতে পেলেম না। যেন ওলম্বা কুল। সন্ধ্যা হইল। ঘরে আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর জগন্মাতার চিন্ত৷ ও মধুর স্বরে নাম করিতেছেন। ভক্তেরা চতুদিকে বসিয়া আছেন । কাল রথযাত্র । ঠাকুর আজ এই বাটীতেই রাত্রিবাস করিবেন। অন্তঃপুরে কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া আবার বড় ঘরে ফিরিলেন। রাত প্রায় দশটা হইবে । ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন, "ঐ ঘর থেকে ( অর্থাৎ পাশ্বের পশ্চিমের ছোট ঘর থেকে ) গামছাট। আন ত’ । ঠাকুরের সেই ছোট ঘরটাতেই শয্যা প্রস্তুত হইয়াছে। রাত সাড়ে দশট হইল। ঠাকুর শয়ন করিলেন । গ্রীষ্মকাল । ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন, ‘বরং পাখাটা আনে । তাহাকে পাখা করিতে বলিলেন । রাত বারটার সময় ঠাকুরের একটু নিদ্রা ভঙ্গ হইল। বলিলেন, "শীত করছে, আর কাজ নাই ।”