পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরথযাত্রাদিবসে বলরামমন্দিরে ভক্তসঙ্গে। ২৫৫ ততক্ষণ লীলাও সত্য । আমি যখন তিনি পুছে ফেলবেন, তখন যা আছে তাই আছে। মুখে বলা যায় না। যতক্ষণ ‘আমি রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ সবই নিতে হবে । কলাগাছের খোল ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে মাজ পাওয়া যায়। কিন্তু খোল থাকলেই মাজ আছে। মাজ থাকলেই খোল আছে । খোলেরই মাজ, মাজেরই খোল । নিত্য বল্লেই লীলা আছে বুঝায়। লীলা বল্লেই নিত্য আছে বুঝায় । “তিনিই জীবজগৎ হয়েছেন,চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব হয়েছেন । যখন নিক্রিয় তখন র্তাহাকে ব্রহ্ম বলি। যখন স্বষ্টি করছেন, পালন করছেন, ংহার করছেন,—তখন তাকে শক্তি বলি। ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ জল স্থির থাকলেও জল, হেল্লে তুল্লেও জল । ‘আমি বোধ যায় না। যতক্ষণ আমি বোধ থাকে, ততক্ষণ জীবজগৎ মিথ্যা বলবার যে নাই । বেলের খোলাটা আর বিচাগুলো ফেলে দিলে, সমস্ত বেলটার ওজন পাওয়া যায় না। “যে ইট, চুণ সুরকি থেকে ছাদ, সেই ইট, চুণ সুরকি থেকেই সিড়ি । যিনি ব্রহ্ম, তার সত্তাতেই জীবজগৎ । “ভক্তেরা—বিজ্ঞানীরা–নিরাকার সাকার দুইই লয়,—অরূপ রূপ দুইই গ্রহণ করে। ভক্তি-হিমে ঐ জলেরই খানিকটা বরফ হয়ে যায় । আবার জ্ঞানসূৰ্য্য উদয় হলে ঐ বরফ গলে আবার যেমন জল তেমনি হয়। [ বিচারান্তে মনের নাশ ও ব্রহ্মজ্ঞান । ] “যতক্ষণ মনের দ্বার। বিচার, ততক্ষণ নিত্যেতে পৌঁছান যায় না । মনের দ্বারা বিচার করতে গেলেই জগৎকে ছাড় বার যে নাই,—রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ,—ইন্দ্রিয়ের এই সকল বিষয়কে ছাড় বার যে নাই । বিচার বন্ধ হলে তবে ব্ৰহ্মজ্ঞান। এ মনের দ্বারা আত্মাকে জানা যায় না। আত্মার দ্বালাই আত্মাকে জান। মাক্স ! শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধি, শুদ্ধ আত্মা, একই । “দেখন, একটা জিনিষ দেখতেই কতগুলো দরকার—চক্ষু দরকার, আলো দরকার, আবার মনের দরকার। এই তিনটার মধ্যে একটা বাদ দিলে তার দর্শন হয় না। এই মনের কাজ যতক্ষণ চলছে, ততক্ষণ