পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরামমন্দিরে নরেন্দ্র, শারদা, গোপালের মা প্রভৃতি সঙ্গে। ২৫৭ দাড়িয়ে, তার পর কাছে আসতে দেখলাম, তার পর আমার ভিতরে মিলিয়ে গেলেন । - “ভাবে দেখলাম, অনল্যাসী হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে । একটা ঠাকুরবাড়ীতে ঢুকলাম—সোণার অলপূণ দর্শন হলো ! “তিনিই এই সব হয়েছেন,—কোন কোন জিনিসে বেশী প্রকাশ । ( মাস্টারাদির প্রতি ) শালগ্রাম তোমরা বুঝি মান না—ইংলিশম্যানর মানে না । তা তোমরা মানে আর নাই মানো । সুলক্ষণ শালগ্রাম,—বেশ চক্র থাকবে,–গোমুখী, আর আর সব লক্ষণ থাকবে— তা হলে ভগবানের পূজা হয় । - মাষ্টার। আজ্ঞা, সুলক্ষণযুক্ত মানুষের ভিতর যেমন ঈশ্বরের বেশী প্রকাশ । শ্রীরামকৃষ্ণ । নরেন্দ্র আগে মনের ভুল বলত ; এখন সব মানছে। ঈশ্বর দর্শনের কথা বলিতে বলিতে ঠাকুরের ভাবাবস্থা হইয়াছে। ভাৰসমাধিস্থ । ভক্তেরা একদৃষ্টে চুপ করিয়া দেখিতেছেন। অনেক ক্ষণ পরে ভাব সম্বরণ করিলেন ও কথা কহিতে লাগিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি) । কি দেখছিলাম! ব্রহ্মাণ শু একচিী শালগ্ৰাম!—তার ভিতর তোমার দুটো চক্ষু দেখ ছিলাম ! মাষ্টার ও ভক্তেরা এই অদ্ভুত, অশ্রুতপূর্ব দর্শনকথা অবাক হইয়া শুনিতেছেন । এই সময় আর একটী ছোকরা ভক্ত, শারদ, প্রবেশ করিলেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া উপবেশন করিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( শারদার প্রতি ) ৷ ( দক্ষিণেশ্বরে ) যাস না কেন ? কলিকাতায় যখন আসি, তখন আসিস না কেন ? - শারদা । আমি খবর পাই না । শ্রীরামকৃষ্ণ । এইবার তোকে খবর দিব । ( মাষ্টারকে, সহস্যে ) একখানা ফর্দ করে তো—ছোকরাদের । ( মাষ্টার ও ভক্তদের হাস্য । ) [ পূর্ণের সংবাদ । নরেন্দ্র দর্শনে ঠাকুরের আনন্দ । ] , শারদ। বাড়ীতে বিয়ে দিতে চায়। ইনি ( মাষ্টার ) বিয়ের কথায় আমাদের কত বার বকেছেন। \ শ্রীরামকৃষ্ণ । এখন বিয়ে কেন ? (মাষ্টারের প্রতি ) শারদার বেশ ›ማ