পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রথযাত্রাদিবসে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে। ২৫৯ যাতায়াত করবে না । মেয়ে ভক্তেরা আলাদা থাকবে—পুরুষভক্তের আলাদা থাকবে । তবেই উভয়ের মঙ্গল। আবার বলিতেন, “মেয়েভক্তদের গোপাল ভাব—“বাৎসল্য ভাব’ বেশী ভাল নয় । ঐ বাৎসল্য’ থেকেই আবার একদিন তাচ্ছল্য হয় ।” পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৷ বলরামের রথযাত্র। নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে—সঙ্কীর্তনানন্দে । ] বেলা ১টা হইয়াছে । ঠাকুর আহারান্তে আবার বৈঠকখানা ঘরে আসিয়া ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। একটা ভক্ত পূর্ণকে ডাকিয়া আনিয়াছেন। ঠাকুর মহানন্দে মাষ্টারকে বলিতেছেন, ‘এই গো ! পূর্ণ এসেছে। নরেন্দ্র, ছোট নরেন, নারা’ণ, হরিপদ ও অন্যান্য ভক্তের কাছে বসিয়া আছেন ও ঠাকুরের সহিত কথা কহিতেছেন । [ স্বাধীন ইচ্ছ। Free Will ও ছোট নরেন । নরেন্দ্রের গান । ] ছোট নরেন । আচ্ছা, আমাদের স্বাধীন ইচ্ছ। Free Will আছে কি না ? শ্রীরামকৃষ্ণ । আমি কে, খোজ দেখি। আমি খুজতে খুজতে তিনি বেরিয়ে পড়েন ! “আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী । চীনের পুতুল দোকানে চিঠি হাতে করে যায়, শুনিছ ! ঈশ্বরই কৰ্ত্ত। আপনাকে অকৰ্ত্ত জেনে, কৰ্ত্তার ন্যায় কাজ করে । “যতক্ষণ উপাধি, ততক্ষণ অজ্ঞান ; আমি পণ্ডিত, আমি জ্ঞানী,আমি ধনী, আমি মানী, আমি কৰ্ত্ত, বাবা, গুরু,—এ সব অজ্ঞান থেকে হয়। ‘আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী’—এই জ্ঞান। অন্য সব উপাধি চলে গেল। কাঠ পোড়া শেষ হলে আর শব্দ থাকে ন—উত্তাপও থাকে না । সব ঠাণ্ড । —শাস্তিঃ শান্তিঃ প্ৰণাম্ভিঃ ! as শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রকে) । একটু গা না । নরেন্দ্র । ঘরে যাই—অনেক কাজ আছে । শ্রীরামকৃষ্ণ । তা বাছ, আমাদের কথা শুনবে কেন ? যার আছে