পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা, বলরামমন্দিরে ভক্তসঙ্গে । ২৬৭ শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারাদির প্রতি ) ৷ ছোট নরেন এলো না ? মনে করেছে, আমি চলে গেছি। (মুখুয্যের প্রতি) কি আশ্চৰ্য্য ! সে ( ছোট নরেন ) ছেলেবেলায়, স্কুল থেকে এসে, ঈশ্বরের জন্য কাদতো ! ( ঈশ্বরের জন্য ) কান্না কি কমেতে হয় ! “আবার বুদ্ধি খুব ! বাঁশের মধ্যে বড় ফুটােওলা বঁাশ ! “আর আমার উপর সব মনটা । গিরিশ ঘোষ বল্লে, নবগোপালের বাড়ী যেদিন কীৰ্ত্তন হয়েছিল,সেদিন (ছোট নরেন) গিছিল,—কিন্তু তিনি কই বলে আর হুস নাই,—লোকের গায়ের উপর দিয়েই চলে যায় ! “আবার ভয় নাই—যে বাড়ীতে বক্বে । দক্ষিণেশ্বরে তিন রাত্রি সমানে থাকে । অষ্টম পরিচ্ছেদ । ভক্তিযোগের গুঢ় রহস্য । জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়। [ মুখুয্যে, হরিবাবু, পূর্ণ নিরঞ্জন, মাষ্টার, বলরাম । ] মুখুয্যে । হরি ( বাগবাজারের হরিবাবু) আপনার কালকের কথা শুনে অবাক ! বলে ‘সাংখ্যদর্শনে, পাতঞ্জলে, বেদান্তে—ও সব কথা আছে । ইনি সামান্য নন ? শ্রীরামকৃষ্ণ । কৈ, আমি সাংখ্য, বেদান্ত পড়ি নাই । “পূর্ণ জ্ঞান আর পূর্ণ ভক্তি একই । ‘নেতি নেতি করে বিচারের শেষ হলে, ব্রহ্মজ্ঞান –-তার পর যা ত্যাগ করে গিছিল, তাই আবার গ্রহণ ৷ ছাদে উঠবার সময় সাবধানে উঠতে হয় । তার পর দেখে যে, ছাদও যে জিনিষে—ইট চুণ সুরকি—সিড়ি ও সেই জিনিষে তৈয়ারী ! “যার উচ্চ বোধ আছে, তার নীচু বোধ আছে। জ্ঞানের পর, উপর নীচে এক বোধ হয় । n “প্ৰহলাদের যখন তত্ত্বজ্ঞান হ’ত, সোহহং হয়ে থাকতেন। যখন দেহবুদ্ধি আস্ত, দাসোহহম, আমি তোমার দাস, এই ভাব আস্ত।