পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। পণ্ডিত শ্যামাপদ, মাষ্টার, রাখাল, প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২৮৫ শ্ৰীযুক্ত মধু ভাত্তশল্প প্রায় নৌকা করিয়া আসেন—ঠাকুরের চিকিৎসার জন্য । ভক্তেরা বড়ই চিন্তিত হইয়াছেন। মধু ডাক্তার যাহাতে প্রত্যহ আসিয়া দেখেন, এই তাহদের ইচ্ছা । মাষ্টার ঠাকুরকে বলিতেছেন, উনি বহুদৰ্শী লোক, উনি রোজ দেখলে ভাল হয়।’ পণ্ডিত শ্যামাপদ ভট্টাচাৰ্য্য আসিয়া ঠাকুরকে দর্শন করিলেন । ইহার নিবাস আঁটপুর গ্রামে। সন্ধ্য আগতপ্রায় দেখিয়া পণ্ডিত ‘সন্ধ্যা করিতে যাই’, বলিয়া গঙ্গাতীরে চাদনীর ঘাটে গমন করিলেন । সন্ধ্যা করিতে করিতে পণ্ডিত কি আশ্চর্য্য দর্শন করিলেন । সন্ধ্য সমাপ্ত হইলে ঠাকুরের ঘরে আসিয়া মেজেতে বসিলেন । ঠাকুর মার নাম ও চিন্তার পর নিজের আসনেই বসিয়া আছেন । পাপোষের উপর মাস্টার; রাখাল, লাটু প্রভৃতি ঘরে যাতায়াত করিতেছেন । ত্রীরামকৃষ্ণ ( মাস্টারের প্রতি, পণ্ডিতকে দেখাইয়া ) । ইনি একজন বেশ লোক । (পণ্ডিতের প্রতি) ‘নেতি নেতি করে শেখানে মলের শান্তি হক্স, সেইখানেই তিনি । [ ঈশ্বর দর্শনের লক্ষণ ও পণ্ডিত শ্যামাপদ। ‘সমাধিমন্দিরে ।] “সাত দেউড়ীর পর রাজ আছেন । প্রথম দেউড়ীতে গিয়ে দেখে যে, একজন ঐশ্বৰ্য্যবান পুরুষ অনেক লোকজন নিয়ে বসে আছেন ; খুব জর্শক জমক ! রাজাকে যে দেখতে গিয়েছে, সে সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করলে, ‘এই কি রাজা ?’ সঙ্গী ঈষৎ হেসে বল্লে, 'না' । “দ্বিতীয় দেউড়ী আর অন্যান্য দেউড়ীতেও ঐরূপ বল্লে। দ্যাখে, যত এগিয়ে যায়, ততই ঐশ্বৰ্ঘ্য । আর জাকজমক ! সাত দেউড়ী পার হয়ে যখন দেখলে, তখন আর সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করলে না --রাজার অতুল ঐশ্বৰ্য্য দর্শন করে অবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলো !—বুঝলে এই রাজ !— এবিষয়ে আর কোন সন্দেহ নাই ! [ ঈশ্বর, মায়া, জীবজগৎ । আধ্যাত্ম রামায়ণ যমলাৰ্জ্জুনের স্তব । ] পণ্ডিত । মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে গেলে তাকে দেখা যায়। শ্রীরামকৃষ্ণ । তার সাক্ষাৎকারের পর আবার ছাখে, এই মায় জীবজগৎ তিনিই হয়েছেন । এই সংসার ধোকার টাটী—স্বপ্লবৎ,—