পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুশ্ৰ ভাগ—সত্তবিংশ খণ্ড । শ্বামপুকুর বাটীতে ডাক্তার সরকার, নরেন্দ্র, শশী, শরৎ, মাষ্টার, গিরীশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । প্রথম পরিচ্ছেদ । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুর বাটতে চিকিৎসার্থ ভক্তসঙ্গে বাস করিতেছেন । আজ কোজাগর পূর্ণিমা, শুক্রবার। ২৩ অক্টোবর ১৮৮৫, বেল ১০টা । ঠাকুর মাষ্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। মাস্টার তাহার পায়ে মোজা পরাইয়া দিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) Comforterটা কেটে পায় পরলে হয় না ? বেশ গরম । [ মাস্টার হাসিতেছেন । গত কলা বৃহস্পতিবার রাত্রে ডাক্তার সরকারের সহিত অনেক কথা হইয়া গিয়াছে । শ্ৰীশ্ৰীকথামৃত প্রথমভাগে এ সব কথা প্রকাশিত হইয়াছে। ঠাকুর সে সকল কথা উল্লেখ করিয়া মাষ্টারকে হাসিতে হাসিতে বলিতেছেন—“কাল কেমন তুহু তুহু বল্লুম !" [ পূৰ্ব্বকথা—উন্মাদাবস্থায় কুঠার পেছনে যেন গায়ে হোমাগ্নি জ্বলন । পণ্ডিত পদ্মলোচনের বিশ্বাস ও তাহার মৃত্যু ৷ ] ঠাকুর কাল বলিয়াছিলেন,--জীবের ত্রিতাপে জ্বলছে, তবু বলে বেশ আছি । বেঁকা কাটা দিয়ে হাত কেটে যাচ্ছে, দরদর করে রক্ত পড়ছে, —তবু বলে, "আমার হাতে কিছু হয় নাই । জ্ঞানাগ্নি দিয়ে এই কাটা তো পোড়াতে হবে । ছোট নরেন ঐ কথা স্মরণ করিয়া বলিতেছেন,—“কালকের বাক৷ কাটার কথাটী বেশ । জ্ঞানাগ্নিতে জ্বালিয়ে দেওয়া ’ শ্রীরামকৃষ্ণ । আমার সাক্ষাৎ ঐ সব অবস্থা হোতে । “কুঠার পেছন দিয়ে যেতে যেতে—গায়ে যেন হোমাগ্নি জ্বলে গেল ! “পদালোচন বলেছিল,—“তোমার অবস্থা সভা করে লোকদের বলবো । তার পর কিন্তু তার মৃত্যু হলো ।