পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা, শ্যামপুকুরে । মণি প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ৩০৩ Scienceএ অবতারের কথা নাই, এতএব অবতার নাই !’ বেল দ্বিপ্রহর হইল। ডাক্তার মণিকে লইয়া গাড়ীতে উঠিলেন। অন্যান্য রোগী দেখিয়া অবশেষে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখিতে যাইবেন । ডাক্তার সে দিন গিরীশের নিমন্ত্রণে বুদ্ধলীলা অভিনয় দেখিতে গিয়াছিলেন। তিনি গাড়ীতে বসিয়া মণিকে বলিতেছেন,—’বুদ্ধকে দয়ার অবতার বল্লে ভাল হতো,—বিষ্ণুর অবতার কেন বল্পে । ডাক্তার মণিকে হেদুয়ার চৌমাথায় নামাইয়া দিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ঠাকুরের পরমহংসঅবস্থা । চতুদিকে আনন্দের কোয়াস দর্শন । ভগবতী র রূপ দর্শন—যেন বলছে,লাগ ভেন্ধী । বেলা ৩টা । ঠাকুরের কাছে ২১ট ভক্ত বসিয়া আছেন। তিনি ‘ডাক্তার কখন আসিবে আর ‘কটা বেজেছে’, বালকের স্যায় অধৈৰ্য্য হইয়া বার বার জিজ্ঞাসা করিতেছেন । ডাক্তার হাজ সন্ধ্যার পর আসিবেন । হঠাৎ ঠাকুরের বালকের স্যায় অবস্থা হইয়াছে ! বালিস কোলে করিয়া যেন বাৎসলারসে আপ্লুত হইয়া ছেলেকে দুধ খাওয়াইতেছেন । ভাবাবিষ্ট ! বালকের স্যায় হাসিতেছেন— আর, এক রকম করিয়া কাপড় পরিতেছেন । মণি প্রভৃতি অবাক হইয়া দেখিতেছেন । কিয়ৎক্ষণ পরে ভাব উপশম হইল । ঠাকুরের খাবার সময় হইয়াছে, তিনি একটু মুজি খাইলেন । মণির কাছে নিভৃতে অতিগুহ কথা বলিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( মণির প্রতি, একান্তে ) ৷ এতক্ষণ ভাবাবস্থায় কি দেখছিলাম জান ?—“তিল চার ক্রোশ ব্যাপী সিওড়ে =াবার রাস্তাক্স মাচ । সেই মাঠে আমি একাকী !—সেই যে পনর ষোল বছরের ছকরার মত পরমহংস বটতলায় দেখেছিলাম, আবার ঠিক সেই রকম দেখলাম ! -