পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা শ্বামপুকুর। নরেন্দ্র, ডাক্তার সরকার প্রভৃতি সঙ্গে। ৩১৭ [ আগে সংসারের গোছগাছ, না ঈশ্বর ? কেশব ও নরেন্দ্রকে ইঙ্গিত। ] নরেন্দ্র আসিয়া কাছে বসিলেন । নরেন্দ্র পিতার পরলোকপ্রাপ্তি হওয়াতে বড়ই ব্যতিব্যস্ত হইয়াছেন। মা ও ভাই এরা আছেন, তাহাদের ভরণ পোষণ করিতে হইবে। নরেন্দ্র আইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন । মধ্যে বিদ্যাসাগরের বৌবাজারের স্কুলে কয়েক মাস শিক্ষকতা করিয়াছিলেন । বাটীর একটা ব্যবস্থা করিয়া দিয়া নিশ্চিন্ত হইবেন,— এই চেষ্টা কেবল করিতেছেন । ঠাকুর সমস্তই অবগত আছেন—নরেন্দ্রকে একদৃষ্টে সস্নেহে দেখিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারকে) । আচ্ছা,কেশব সেনকে বল্লাম,—ম্বদুচছলাভ । যে বড় ঘরের ছেলে,তার খাবার জন্য ভাবনা হয় না—সে মাসে মাসে মুসোহারা পায়। তবে নরেন্দ্রের অত উচু ঘর, তবু হয় না কেন ? ভগবানে মন সব সমর্পণ করলে তিনি ত সব জোগাড় করে দিবেন । মাষ্টার। আজ্ঞা হবে ; এখনও ত সব সময় যায় নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । কিন্তু তীব্র বৈরাগ্য হলে ওসব হিসাব থাকে না । বাড়ীর সব বন্দোবস্ত করে দিব, তার পরে সাধনা করবে”—তীব্র বৈরাগ্য হলে এরূপ মনে হয় না । (সহস্তে) গোঁসাই লেকচার দিয়ে ছিল । তা বলে, দশ হাজার টাকা হলে ঐ থেকে খাওয়া দাওয়া এই সব হয়— তখন নিশ্চিন্ত হয়ে ঈশ্বরকে বেশ ডাকা যেতে পারে !” “কেশব সেনও ঐ ইঙ্গিত করেছিল। বলেছিল,—মহাশয়, যদি কেউ বিষয় আশয় ঠিক ঠাক করে, ঈশ্বর চিন্তা করে—ত পারে কি না ? তার তাতে কিছু দোষ হতে পারে কি ? “আমি বল্লাম, তীব্র বৈরাগ্য হলে সংসার পাতকুয়া, আত্মীয় কাল সাপের মত, বোধ হয়। তখন, টাকা জমাবো,’ ‘বিষয় ঠিক ঠাক করবো? এ সব হিসাব আসে না । ঈশ্বরই বস্ত আৰুর সনৰ আৰম্ভ ! —ঈশ্বরকে ছেড়ে বিষয়চিন্তা ! “একটা মাগীর ভারি শোক হয়েছিল । আগে নৎটা কাপড়ের অচিলে বাধলে,—তার পর ওগো ! আমার কি হলো গো ! বলে আছড়ে পড়লো—কিন্তু খুব সাবধান, নৎটা না ভেঙ্গে যায়।