পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○〉レー ääätors [ 1885, 27th October. সকলে হাসিতেছেন । নরেন্দ্র এই সকল কথা শুনিয়া বাণবিদ্ধের ন্যায় একটু কাইত, হইয়া শুইয়া পড়িলেন। তার মনের অবস্থা বুঝিয়া— মাষ্টার ( নরেন্দ্রের প্রতি সহাস্তে )। শুয়ে পড়লে যে । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি, সহাস্ত্যে )। ‘আমি তো আপনার ভাসুরকে নিয়ে আছি তাইতেই লজ্জায় মরি, এরা সব ( অন্য মাগীরা ) পরপুরুষ নিয়ে কি করে থাকে ! মাষ্টার নিজে সংসারে আছেন, লজ্জিত হওয়া উচিত। নিজের দোষ কেহ দেখে না- তাপরের ছাখে ! ঠাকুর এই কথা বলিতেছেন। এক জন স্ত্রীলোক ভাস্করের সঙ্গে নষ্ট হইয়াছিল। সে নিজের দোষ কম অন্য নষ্ট স্ত্রীলোকদের দোষ বেশী, মনে করিতেছে । বলে, ‘ভানুর তো আপনার লোক, তাইতেই লজ্জায় মরি ? [ মুক্তহস্ত কে ? চাকরী ও খোসামোদের টাকায় বেশী মায়া । ] নীচে একজন বৈষ্ণব গান গাইতেছিল । ঠাকুর শুনিয়া অতিশয় আনন্দিত হইলেন । বৈষ্ণবকে কিছু পয়সা দিতে বলিলেন । একজন ভক্ত কিছু দিতে গেলেন। ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিতেছেন, কি দিলে ? একজন ভক্ত বলিলেন—“তিনি দু পয়সা দিয়াছেন ! ঠাকুর বলিতেছেন—“চাকরি করা টাকা কিনা !—অনেক কষ্টের টাকা—খোসামোদের টাকা । মনে করেছিলাম, চার আনা দিবে ? | Electricity তাড়িতযন্ত্র ও বাগচী চিত্রিত ষড়ভুজ ও রামচন্দ্রের আলেখ্য দর্শন। পূর্বকথা—দক্ষিণেশ্বরে দীর্ঘকেশ সন্ন্যাসী । ] ছোট নরেন ঠাকুরকে যন্ত্র আনিয়া তাড়িতের প্রকৃতি দেখাইবেন বলিয়াছিলেন । আজ আনিয়া দেখাইলেন। বেলা দুইটা । ঠাকুর ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। অতুল একটা বন্ধু মুনসেফ কে আনিয়াছেন। শিকদারপাড়ার প্রসিদ্ধ চিত্রকর বাগচী আসিয়াছেন। কয়েকখানি চিত্র ঠাকুরকে উপহার দিলেন । ঠাকুর আনন্দের সহিত পট দেখিতেছেন। ষড়ভূজ মুক্তি দর্শন করিয়া ভক্তদের বলিতেছেন—“দ্যাথো দ্যাখো, কেমন হয়েছে !” ভক্তদের আবার দেখাইবার জন্য ‘অহল্যা পাষাণীর পট আনিতে