পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর । নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে । ○○○ “জ্ঞানী যদি সমাধিস্থ হয়ে চুপ করে থাকে, তা হলে লোক শিক্ষা হয় না । তাই শঙ্করাচার্য্য বিদ্যার আমি রেখেছিলেন । “আর ঈশ্বরের আনন্দ ভোগ করবার জন্য—সম্ভোগ করবার জন্য—ভক্তি ভক্ত নিয়ে থাকে । “এই ‘বিদ্যার আমি’ ‘ভক্তের আমি”— এতে দোষ নাই। “বজগৎ আমি’তে দোষ হয় । তাকে দর্শন করবার পর বালকের স্বভাব হয় । ‘বালকের আমি'তে কোন দোষ নাই । যেমন আশির মুখ—লোককে গালাগাল দেয় না । পোড়া দড়ি দেখতেই দড়ির আকার, ফু দিলে উড়ে যায়। জ্ঞানাগ্নিতে অহঙ্কার পুড়ে গেছে। এখন আর কারও অনিষ্ট করে না । নামমাত্র “আমি” ৷ “নিত্যেতে পৌছে আবার লীলায় থাকা। যেমন ওপারে গিয়ে আবার এপারে আসা । লোকশিক্ষা আর বিলাসের জন্য ;–আমোদের জন্য । ঠাকুর অতি মৃদুস্বরে কথা কহিতেছেন। একটু চুপ করিলেন । আবার ভক্তদের বলিতেছেন—“শরীরের এই রোগ—কিন্তু অবিদ্যামায়া রাখে না। এই দ্যাখে, রামলাল, কি লাড়ী, কি পৱি DDDSBBBBB BBB BBB SSBBB SBS ee BBBBS তার জন্ম ভাবছি —ওদের জন্য ত ভাবনা হয় না ! “তিনিই বিদ্যামায়া রেখে দিয়েছেন——লোকের জন্য—ভক্তের জন্য । “কিন্তু বিদ্যমায়া থাকলে আবার আসতে হবে। অবতারাদি বিছামায়া রাখে ! একটু বাসনা থাকলেই আসতে হয়—ফিরে ফিরে আসতে হয়। সব বাসনা গেলে মুক্তি । ভক্তরা কিন্তু মুক্তি চায় না ! “যদি কাশীতে কারু দেহত্যাগ হয়, তা হলে মুক্তি হয়—আর আসতে হয় না । জ্ঞানীদের মুক্তি। নরেন্দ্র। সে দিন মহিম চক্ৰবৰ্ত্তীর বাড়ীতে আমরা গিছলাম । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )। তার পর ? নরেন্দ্র । ওর মত এমন শুষ্ক জ্ঞানী দেখি নাই ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) ৷ কি হয়েছিল ? নরেন্দ্র। আমাদের গান গাইতে বল্পে। গঙ্গাধর গাইলে—