পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর। নরেন্দ্র ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব । WS)8) “ঠাকুর বলেছেন, তাকে বিচার করে জানা যায় না। বিশ্বাসেই সমস্ত হয়,—ঙ্গান, বিজ্ঞান | দর্শন, আলাপ,—সব । ভবনাথ বিবাহ করিয়াছেন। র্তাহার অন্নচিন্ত হইয়াছে । তিনি মাষ্টারের কাছে আসিয় বলিতেছেন, ‘বিদ্যাসাগরের নূতন ইস্কুল হবে, শুনলাম। আমারও তো খ্যাটের যোগাড় করতে হবে। ইস্কুলের একটা কাজ করলে হয় না ? [ রামলাল। পূর্ণের গাড়ীভাড়া। স্বরেন্দ্রের খসখসের পরদা। ] বেলা তিনটে চারটে । ঠাকুর শুইয়া আছেন। রামলাল পদসেবা করিতেছেন। ঘরে সিতির গোপাল ও মণিও আছেন। রামলাল দক্ষিণেশ্বর হইতে আজ ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর মণিকে জানালা বন্ধ করিয়া দিতে বলিতেছেন—ও পায়ে হাত বুলাইয়া দিতে। ঐযুক্ত পূর্ণকে গাড়া ভাড়া করিয়া কাশীপুরের উদ্যানে আসিতে বলিয়াছিলেন । তিনি দর্শন করিয়া গিয়াছেন। গাড়ীভাড়া মণি দিবেন। ঠাকুর গোপালকে ইঙ্গিত করিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন, ‘এর কাছে পেয়েছ ? গোপাল বলিতেছেন,—‘আজ্ঞ, হা । রাত নয়টা হইল। স্বরেন্দ্র, রাম প্রভৃতি কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবার উদ্যোগ করিতেছেন। বৈশাখ মাসের রৌদ্র—দিনের বেলা ঠাকুরের ঘর বড়ই গরম হয়। সুরেন্দ্র তাই খস্খস আনিয়া দিয়াছেন। পরদা করিয়া জানালায় টাকাইয়া দিলে ঘর বেশ ঠাণ্ড হইবে। স্বরেন্দ্র ৷ কৈ, খস্খস্ কেউ পরদা করে টাঙ্গিয়ে দিলে না ? কেউ মনোযোগ করে না ! একজন ভক্ত (সহস্তে )। ভক্তদের এখন ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা । এখন সোহহং ;—জগৎ মিথ্যা । আবার ‘তুমি প্রভু, আমি দাস এই গব যখন আসবে তখন এই সব সেবা হবে ! ( সকলের হাস্ত )