পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেনেট মহোৎসবে । নবদ্বীপ গোস্বামীসঙ্গে । రి) নবদ্বীপ গোস্বামী, র্তাহার পুত্র ও ভক্তগণ অবাক হইয়া দেখিতেছেন । কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া ঠাকুর নবদ্বীপকে বলিতেছেন— “যোগ ভোগ । তোমরা গোস্বামীবংশ তোমাদের দুইই আছে। “এখন কেবল তাকে প্রাথন কর, আন্তরিক প্রার্থনা—’হে ঈশ্বর তোমার এই ভূবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বৰ্য্য আমি চাই না, —আমি তোমায় চাই । “তিনি তো সর্বভূতেই আছেন—তবে ভক্ত কাকে বলে ? যে তাতে থাকে—যার মন প্রাণ অন্তরাত্মা সব তাতে গত হয়েছে। । ঠাকুর এইবার সহজাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন। নবদ্বীপকে বলিতেছেন— “আমার এই যে অবস্থাটা হয় ( সমাধি অবস্থ ) কেউ কেউ বলে রোগ। আমি বলি, যার চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—র্তার চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয় ?” শ্ৰীযুক্ত মণি সেন অভ্যাগত ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবদের বিদায় করিতেছেন—কাহাকে এক টাকা, কাহাকে দু টাকা—যে যেমন ব্যক্তি । ঠাকুরকে পাঁচ টাকা দিতে আসিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন— ‘আমার টাকা নিতে নাই’ । মণি সেন তথাপি ছাড়েন না । ঠাকুর তখন বলিলেন, যদি দাও তোমার গুরুর দিব্য ! মণি সেন আবার দিতে আসিলেন। তখন ঠাকুর যেন অধৈৰ্য্য হইয়া মাষ্টারকে বলিতেছেন,--“কেমন গো নেবো ?’ মাস্টার ঘোরতর আপত্তি করিয়া বলিলেন,--"আজ্ঞা না,—কোন মতেই নেবেন না !!’ শ্ৰীযুক্ত মণি সেনের লোকেরা তখন আম সন্দেশ কিনিবার নাম করিয়া রাখালের হস্তে টাকা দিলেন । ত্রীরামকৃষ্ণ ( মাস্টারের প্রতি ) ৷ আমি গুরুর দিব্য দিয়েছি!— আমি এখন খালাস। রাখাল নিয়েছে সে এখন বুঝুগ গে ! ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে গাড়ীতে আরোহণ করিলেন— দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ফিরিয়া যাইবেন । [ নিরাকার ধ্যান ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ । ] পথে মতিশীলের ঠাকুরবাড়ী। ঠাকুর মাস্টারকে অনেক দিন হইল