পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। ভক্তসঙ্গে—মূলকথাপ্রসঙ্গে । 8S). চতুর্থ পরিচ্ছেদ। জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরদর্শন । উপায় প্রেম । পরদিন সোমবার, বেলা আটটা হইল। ঠাকুর সেই ঘরে বসিয়া আছেন। রাখাল, লাটু, প্রভৃতি ভক্তেরাও আছেন। মণি মেঝেতে বসিয়া আছেন। শ্ৰীযুক্ত মধু ডাক্তারও আসিয়াছেন। তিনি ঠাকুরের কাছে সেই ছোট খাটটির উপরেই বসিয়া আছেন। মধু ডাক্তার প্রবীণ— ঠাকুরের অসুখ হইলে প্রায় তিনি আসিয়া দেখেন। বড় রসিক লোক । মণি ঘরে প্রবেশ করিয়া প্রণামানন্তর উপবেশন করিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । কথাটা এই— সচিদানন্দে প্রেম ! [ ঠাকুরের সীতামূৰ্ত্তি দর্শন । গৌরী পণ্ডিতের কথা । ] “কিরূপ প্রেম ? ঈশ্বরকে কিরূপ ভালবাসতে হবে ? গৌরী বলতে রামকে জানতে গেলে সীতার মত হতে হয় ; ভগবানকে জানতে ভগবতীর মত হতে হয়,--ভগবতী যেমন শিবের জন্য কঠোর তপস্য: করেছিলেন সেইরূপ তপস্যা করতে হয় ; পুরুষকে জানতে গেলে প্রকৃতিভাব আশ্রয় করতে হয়—সখিভাব, দাসীভাব, মাতৃভাব । “আমি সীতামূৰ্ত্তি দর্শন করেছিলাম। দেখলাম সব মনটা রামেতেই রয়েছে। যোনি, হাত, পা, বসন, ভূষণ কিছুতেই দৃষ্টি নাই। যেন জীবনট রামময়—রাম না থাকলে, রামকে না পেলে, প্রাণে র্বাচবে না ? মণি । আজ্ঞা হুঁ,–যেন পাগলিনী ! শ্রীরামকৃষ্ণ । উন্মাদিনী – ইয়া ! ঈশ্বরকে লাভ করতে গেলে পাগল হতে হয় | “কামিনীকাঞ্চনে মন থাকলে হয় না। কামিনীর সঙ্গে রমণ,—তাতে কি সুখ !—ঈশ্বরদর্শন হলে রমণ-মুখের কোটগুণ আনন্দ হয়। গৌরী বলত, মহাভাব হ'লে শরীরের সব ছিদ্ৰ—লোমকূপ পৰ্য্যন্ত– মহাযোনি হয়ে যায়। এক একটি ছিদ্রে আত্মার সহিত রমণ সুখ বোধ হয় !