পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to #hilatilopolioso | [1883, 24th December. শ্রীরামকৃষ্ণ । নানা ফুল—পাপড়ি থাক থাকু ণ তাও দেখছি !— ছোট বিম্ব, বড় বিম্ব ! এই সকল ঈশ্বরীয় রূপ দৰ্শন-কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইতেছেন। বলিতেছেন আমি হয়েছি!—আমি এসেছি । এই কথা বলিয়াই একবারে সমাধিস্থ হইলেন । সমস্ত স্থির । অনেক ক্ষণ সম্ভোগের পর বাহিরের একটু হাঁস আসিতেছে ! এইবার বালকের স্যায় হাসিতেছেন । হেসে হেসে ঘরের মধ্যে পাদ রণ করিতেছেন । [ ক্ষোভ বাসনা গেলেই পরমহংস-অবস্থা । সাধনকালে বড়তলার পরমহংসদৰ্শন-কথা । ] অদ্ভুতদৰ্শনের পর চক্ষু হইতে যেরূপ আনন্দ-জ্যোতি বাহির হয়, সেইরূপ ঠাকুরের চক্ষের ভাব হইল। মুখে হাস্য। শূন্য দৃষ্টি। ঠাকুর পায়চার করিতে করিতে বলিতেছেন।– “বটতলার পরমহংস দেখলাম—এই রকম হেসে চলছিল!-- সেই স্বরূপ কি আমার হল ! এইরূপ পদচারণের পর ঠাকুর ছোট খাটটিতে গিয়া বসিয়াছেন ও জগন্মাতাব সহিত কথা কহিতেছেন । ঠাকুর বলিতেছেন,—যাক আমি জানতেও চাই না !—ম, তোমার পাদপদ্মে যেন শুদ্ধা ভক্তি থাকে !’ (মণির প্রতি)-—ক্ষে ভ বাসনা গেলেই এই অবস্থ। । আবার মাকে বলিতেছেন -“মা ! পূজা উঠিয়েছ ;--সব বাসনা যেন যায় না —ম | পরমহংস তো বালক—বালকের মা চাই না ! তাই তুমি ম,_আমি ছেলে ! মার ছেলে মাকে ছেড়ে কেমন ক’রে থাকে ! ঠাকুর এরূপ স্বরে মার সঙ্গে কথা বলিতেছেন যে পাষাণ পৰ্য্যন্ত বিগলিত হইয়া যায় । আবার মাকে বলিতেছেন,—শুধু অদ্বৈতজ্ঞান ! হ্যাক খু! যতক্ষণ আমি রেখেছ ততক্ষণ তুমি ! পরমহংস তো বালক, ৰালকের মা চাই না! __আত্মনি চৈব বিচিত্রাশ্চতি। বেদান্তস্বত্র, ২৮১২ 5