পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... 6.8 শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত। [ 1883, 24th December. ( তোতাপুরীর উপদেশ—গুরুরূপী শ্ৰীভগবান স্বস্বরূপকে জানিয়ে দেন । ) , - “ন্যাঙ্গটা বাঘ আর ছাগলের পালের গল্প বলেছিল । একটা বাঘিনী ছাগলের পাল আক্রমণ করেছিল । একটা ব্যাধ দূর থেকে দেখে ওকে মেরে ফেল্লে । ওর পেটে ছানা ছিল, সেটা প্রসব হয়ে গেল । “সেই ছানাটা ছাগলদের সঙ্গে বড় হতে লাগলো। প্রথমে ছাগলদের মায়ের দুধ খায়,—তার পর একটু বড় হলে ঘাস খেতে আরম্ভ করলে । আবার ছাগল দের মত ভ্যা ভা করে । “ক্রমে খুব বড় হোলো,—কিন্তু ঘাস খায় আর ভ্যা ভ্যা করে । কোন জানোয়ার আক্রমণ করলে ছাগলদের মত দৌড়ে পালায় ! “এক দিন একটা ভয়ঙ্কর বাঘ ছাগলদের পাল আক্রমণ করলে । সে অবাক হয়ে দেখলে যে, ওদের ভিতর একটা বাঘ ঘাস খাচ্ছিল,-ছাগলদের সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে পালালে। তখন ছাগলদের কিছু না বলে ঐ ঘাসখেকো বাঘটাকে ধরলে। সেটা ভ্যা ভ্যা করতে লাগলো! আর পালাবার চেষ্টা করতে লাগলো। তখন সে তাকে একটা জলের ধারে টেনে নিয়ে গেল । আর বল্লে, “এই জলের ভিতর তোর মুখ দেখ । দেখ, আমারও যেমন হাড়ির মতন মুখ, তোরও তেন্নি। তার পর তার মুখে একটু মাংসগুজে দিলে। প্রথমে, সে কোন মতে খেতে চায় না ;—তার পর একটু আস্বাদ পেয়ে খেতে লাগল। তখন বাঘট বল্লে, তুই ছাগলদের সঙ্গে ছিলি আর তুই ওদের মত ঘাস খাচ্ছিলি ? ধিক তোকে । তখন সে লজ্জিত হলো । “ঘাস খাওয়া, কিনা কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে থাকা । ছাগলদের মত ভা ভ্যা করে ডাকা, আর পলানো,—সামান্য জীবের মত আচরণ করা । বাঘের সঙ্গে চলে যাওয়া,—কিনা, গুরু যিনি চৈতন্য করলেন, তার শরণাগত হওয়া,—তাকেই আত্মীয় বলে জানা । নিজের ঠিক মুখ দেখা, কিনা স্বস্বরূপকে চেন । ঠাকুর দণ্ডায়মান হইলেন । চতুর্দিক নিস্তব্ধ । কেবল ঝাউগাছের সে সে শব্দ ও গঙ্গার কুলু কুলু ধ্বনি। তিনি, রেল পার হইয়া পঞ্চ