পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?や àääfooto [ 1883, 24th December. প্রেমভক্তি ও শ্ৰীবৃন্দাবনলীলা । অবতার ও নরলীলা । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । গোপীদের প্রেমা ভক্তি । প্রেমাভক্তিতে দুটা জিনিষ থাকে,—অহংত। আর মমতা । আমি কৃষ্ণকে সেবা না করলে কৃষ্ণের অসুখ হবে,—এর নাম অহংত। এতে ঈশ্বর-বোধ থাকে না । “মমত,—“আমার আমার করা। পাছে পায়ে কিছু আঘাত লাগে, গোপীদের এত মমতা, তাদের সূক্ষ শরীর শ্ৰীকৃষ্ণের চরণতলে থাকৃত । “যশোদা বল্লেন, তোদের চিন্তামণি-কৃষ্ণ জানি না,—আমার গোপাল ! গোপীরাও বলছে, ‘কোথায় আমার প্রাণবল্লভ ! আমার হৃদয়বল্লভ ”—ঈশ্বর-বোধ নাই । “যেমন ছোট ছেলেরা, দেখেছি, বলে, “আমার বাবা' । যদি কেউ বলে, “ন তোর বাবা নয়,”—তা হলে বলবে, 'না আমার বাব৷ ” “নরলীলায় অবতারকে ঠিক মানুষের মত আচরণ করতে হয়,— তাই চিন্তে পারা কঠিন । মানুষ হয়েছেন ত ঠিক মানুষ । সেই ক্ষুধা তৃষ্ণ, রোগ শোক, কখন বা ভয়,—ঠিক মানুষের, মত। রামচন্দ্র সীতার শোকে কাতর হয়েছিলেন । গোপাল নন্দের জুতো মাথায় করে নিয়ে গিছলেন–পিড়ে বয়ে নিয়ে গিছলেন । “থিয়েটারে সাধু সাজে, সাধুর মতই ব্যবহার করবে,-—যে রাজা সেজেছে তার মত ব্যবহার করবে ন যা সেজেছে তাই অভিনয় করবে । “এক জন বহুরূপী সেজেছে, “ত্যাগী সাধু । সাজটা ঠিক হয়েছে দেখে বাবুরা একটি টাকা দিতে গেল। সে নিলে না, উ হু করে চলে গেল। গা হাত পা ধুয়ে যখন সহজ বেশে এলে, বল্লে, টাকা দাও । বাবুর বলে, “এই তুমি টাকা নোবো না বলে চলে গেলে, আবার টাকা চাইছ ? সে বল্লে, তখন সাধু সেজেছি, টাকা নিতে নাই।’ “তেন্নি ঈশ্বর, যখন মানুষ হন, ঠিক মানুষের মত ব্যবহার করেন । “বৃন্দাবনে গেলে অনেক লীলার স্থান দেখা যায়। [ সুরেন্দ্রের প্রতি উপদেশ—ভক্তসেবার্থ দান ও সত্য কথা । ] মুরেন্দ্র । আমরা ছুটতে গিছলাম ;–বড় ‘পয়সা দাও পয়সা দাও। করে । ‘দাও দাও’ করতে লাগলো-–পাণ্ডারা আর সব—তাদের বল্লুম, “আমরা কাল কলকাতা যাবে , ব’লে সেই দিনই পলায়ন !