পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে সুরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে গুরুরূপী শ্রীরামকৃষ্ণ । ৫৭ ত্রীরামকৃষ্ণ। ও কি ! ছি ! কাল যাবে বলে আজ পালানো ! ছি:! সুরেন্দ্র ( লজ্জিত হইয়া ) । বনের মধ্যে মাঝে মাঝে বাবাজীদের দেখেছিলাম, নির্জনে বসে সাধন ভজন করছে । । শ্রীরামকৃষ্ণ । বাবাজীদের কিছু দিলে ? সুরেন্দ্র । আজ্ঞা, না । শ্রীরামকৃষ্ণ । ও ভাল কর নাই । সাধুভক্তদের কিছু দিতে হয় । যাদের টাকা আছে, তাদের ওরূপ লোক সামনে পড়লে কিছু দিতে হয় । [ শ্ৰীমুখ-কথিত চরিতামৃত । মধুর সঙ্গে শ্ৰীবৃন্দাবন দর্শন 1868 । ] ত্রীরামকৃষ্ণ। আমি বৃন্দাবনে গিছলাম—সেজ বাবুদের সঙ্গে । “মথুরার ধ্রুব ঘাট যাই দেখলাম, অমনি দপ করে দর্শন হল, বস্থদেব কৃষ্ণ কোলে যমুনা পার হচ্ছেন । “আবার সন্ধ্যার সময় যমুনা পুলিনে বেড়াচ্ছি, বালির উপর ছোট ছোট খোড়ে। ঘর। বড় কুল গাছ। গোধূলির সময় গাভীরা গোষ্ঠ থেকে ফিরে আসছে। দেখলাম, হেঁটে যমুনা পার হচ্ছে । তার পরেই কতকগুলি রাখাল গভীদের নিয়ে পার হচ্ছে । “যেই দেখা অমনি কোথায় কৃষ্ণ !’ বলে—বেহু'স হয়ে গেলাম ! “শ্যামকুণ্ড, রাধাকুণ্ড দর্শন করতে ইচ্ছা হয়েছিল। পান্ধী করে আমায় পাঠিয়ে দিলে । অনেকটা পথ ; লুচি জিলিপী পান্ধীর ভিতরে দিলে । মাঠ পার হবার সময় এই ভেবে কঁদিতে লাগ লাম, কৃষ্ণরে ! তুই নাই, কিন্তু সেই সব স্থান রয়েছে !—সেই মাঠ, তুমি গোরু চরাতে " “হৃদে রাস্তায় সঙ্গে সঙ্গে পেছনে আসছিল। আমি চক্ষের জলে ভাস্তে লাগ লাম। বিয়ারাদের দাড়াতে বলতে পারলাম না ! “শুমকুণ্ড রাধাকুণ্ডতে গিয়ে দেখলাম, সাধুরা একটা একটা ঝুপড্রার মত করেছে ;—তার ভিতরে পিছনে ফিরে সাধন ভজন করছে— পাছে লোকের উপর দৃষ্টিপাত হয়। দ্বাদশ বন দেখবার উপযুক্ত । “বন্ধুবিহারকে দেখে ভাব হয়েছিল, আমি তাকে ধরতে গিছিলাম। গোবিনজীকে দুইবার দেখতে চাইলাম না । মথুরায় গিয়ে রাখালকৃষ্ণকে স্বপন দেখেছিলাম। হৃদে ও সেজ বাবুও দেখেছিল।