পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখালাদি ভক্তসঙ্গে । \9ፉ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । জ্ঞানপথ ও বিচারপথ। ভক্তিযোগ ও ব্রহ্মজ্ঞান । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে বসিয়া আছেন। রাত্রি প্রায় ৮টা হইবে । আজ পৌষ শুক্ল পঞ্চমী, বুধবার, ২রা জানুয়ারী ১৮৮৪ খৃস্টাব্দ। ঘরে রাখাল ও মণি আছেন । মণির আজ একবিংশতি দিবস । ঠাকুর মণিকে বিচার করিতে বারণ করিয়াছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখালের প্রতি) । বেশী বিচার কবা ভাল না । আগে ঈশ্বর তার পর জগৎ,—তাকে লাভ করলে তার জগতের বিষয় ও জানা যায় । (মণি ও রাখালের প্রতি ) “যদু মল্লিকের সঙ্গে আলাপ করলে তার কত বাড়ী, বাগান, কোম্পানীর কাগজ, সব জানতে পারা যায় । “তাই তো ঋষির বাল্মীকিকে ‘মরা ‘মরা জপ করতে বল্লেন । ওর একটু মানে আছে ; 'ম' মানে ঈশ্বর, "রা" মানে জগৎ,— আগে ঈশ্বর, তার পরে জগৎ । [ কৃষ্ণকিশোরের সহিত মরা মন্ত্র কথা । ] “কৃষ্ণকিশোর বলেছিল, ‘মরা ‘মরা শুদ্ধ মন্ত্র,-- ঋষি দিয়েছেন বলে । ম মানে ঈশ্বর, রা মানে জগৎ । “তই আগে বাল্মীকির মত সব ত্যাগ করে নির্জনে গোপনে ব্যাকুল হয়ে কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরকে ডাকতে হয়। আগে দরকার ঈশ্বর দশন । তার পর বিচার—শাস্ত্র, জগৎ । [ ঠাকুরের রাস্তায় ক্ৰন্দন—‘মা বিচার-বুদ্ধিতে বজাঘাত দাও 868. ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( মণির প্রতি ) ৷ তাই তোমাকে বলছি,—আর বিচার কোরো না । আমি ঝাউতলা থেকে উঠে যাচ্ছিলাম ঐ কথা বলতে । বেশী বিচার করলে শেষে হানি হয়—শেষে হাজরার মত হয়ে যাবে। আমি রাত্রে একলা রাস্তায় কেঁদে কেঁদে বেড়াতাম আর বলেছিলাম—ম বিচার বুদ্ধিতে বজাঘাত দাও । “=तव्न ज्ञज्ञि ( ििन्दप्त्रtइव ) न्यञ्?झर्टन्त =।। * (*