পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । ঠাকুরের ভক্তদের প্রতি আশীৰ্ব্বাদ । ዓ> উন্মাদ হলাম !—তাও গেল ! কালই ব্রহ্ম । যিনি কালের সহিত রমণ করেন, তিনিই কালা—আদ্যাশক্তি । অটলকে টলিয়ে দেন । এই বলিয়া ঠাকুর গান গাইতেছেন —“ভাব কি ভেবে পরাণ গেল ! যার নামে হরে কাল, পদে মহা কাল, তার কালরূপ কেন হল !" “আজ শনিবার, মা কালীর ঘরে যে ও । o বকুলতলার নিকট আসিয়া ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন-- “চিদাত্মা আর চিৎশক্তি । চিদাত্ম পুরুষ, চিৎশক্তি প্রকৃতি। চিদাত্মা শ্ৰীকৃষ্ণ,চিৎশক্তি শ্রীরাধা। ভক্ত ঐ চিৎশক্তির এক একটী রূপ। “অন্যান্য ভক্তেরা সর্থী ভাব বা দাসভাবে থাকবে। এই মূলকথ। । সন্ধ্যার পর ঠাকুর কালীঘরে গিয়াছেন । মণি সেখানে মার চিন্তা করিতেছেন দেখিয়া ঠাকুর প্রসন্ন হইয়াছেন । [ ভক্তদের জন্য জগন্মা তার কাছে ক্ৰন্দ , । ভক্তদের আশীৰ্ব্বাদ ] সমস্ত দেবালয়ে আরতি হইয়া গেল । ঠাকুর, ঘরে তক্তার উপর বসিয়া মার চিন্তা করিতেছেন । মেজেতে কেবল মণি বসিয়া আছেন । ঠাকুর সমাধিস্থ হইয়াছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে সমাধি ভঙ্গ হইতেছে। এখন ভাবের পূর্ণমাত্রা – ঠাকুর মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। ছোট ছেলে যেমন মার কাছে আবদার করে কথা কয় । মাকে করুণস্বরে বলিতেছেন—“ওমা, কেন সে রূপ দেখালিনি !—সেই ভুবনমোহন রূপ ! এত কোরে তোকে বল্লাম!--ত তোকে বল্লেতে তুই শুনবিনি!—তুই ইচ্ছাময়ী !” সুর করে মাকে এই কথাগুলি বল্লেন, শুনলে পাষাণ বিগলিত হয় । ঠাকুর আবার মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন - “মা বিশ্বাস চাই ! যাক শালার বিচার – সাত চোনার বিচার এক চোনায় যায়!—বিশ্বাস চাই ( গুরুবাক্যে বিশ্বাস )— বালকের মত বিশ্বাস —ম বলেছে, ওখানে ভূত আছে--তা ঠিক জেনে আছে যে ভূত আছে – মা বলছে, ওখানে জুজু!— তো তাই ঠিক জেনে আছে! মা বলেছে, ও তোর দাদা হয়,—তে জেনে তাছে পাচ সিকে পাচ আনা দাদা ! বিশ্বাসন চাই । ।